সিপিএমের ডাকা বনধে সাধারণ মানুষ তো বটেই বাম সমর্থকেরা সাড়া দেননি বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্য পযর্টন মন্ত্রী তথা দার্জিলিং জেলা তৃণমূল (সমতল) সভাপতি গৌতম দেব। সোমবার বিকালে তিনি বলেন, ‘‘শিলিগুড়ির জনজীবন পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিল। শনিবার, রবিবারের পর মানুষের দুর্দশা বাড়াতে ডাকা বনধে একেবারে বিফল হয়েছে। বিভিন্ন দফতরের হাজিরার যে হিসাব পেয়েছি, তাতে বোঝা যাচ্ছে, বাম সমর্থকেরাও নেতাদের উপর বিরক্ত হয়ে বনধে কাজ করেছেন।’’
মন্ত্রী গৌতমবাবু জানান, তরাইয়ের চা বাগানে কাজ রোজকার মত স্বাভাবিক হয়েছে। আমরা জানতাই মানুষ বনধের মধ্যে আর নেই। তাই কোনও মিছিল, মিটিং করিনি। প্রচুর বাস, গাড়ি, অটো রাস্তা ছিল। শিলিগুড়ির ছবি দেখে মনে হচ্ছে শহরের পুরানো বনধ সংস্কৃতি পাল্টে যাচ্ছে। এনজেপি স্টেশনে প্রচুর এনবিএসটিসি-র বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আমি দিনভর খোঁজ নিয়ে জেনেছি, কোথাও কোনও পর্যটক সমস্যায় পড়েনি। শহরের অধিকাংশ স্কুল পর্যন্ত খোলাই ছিল।
এ দিন সরকারি দফতরের হাজিরার হার-মহকুমা শাসকের দফতের ৯৮.৫ শতাংশ, মহকুমা পরিষদ-৯৮ শতাংশ, শিলিগুড়ি পুরসভা-৮০ শতাংশ। বিডিও অফিসগুলির মধ্যে ফাঁসিদেওয়া-১০০ শতাংশ, মাটিগাড়া-৯৮.৩ শতাংশ, খড়িবাড়ি-৯৭ শতাংশ, নকশালবাড়ি-৮৫ শতাংশ।
এ দিন সকাল থেকে শহরের সরকারি দফতর, অধিকাংশ স্কুল খুলে যায়। ব্যাঙ্কগুলিতে সাড়ে ৯টা থেকে ধীরে ধীরে গ্রাহকদের লাইন নজরে পড়ে। বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাট খোলা থাকলেও হিলকার্ট রোড, সেবক রোড, স্টেশন ফিডার রোডে এবং বিধানরোডে বড় দোকানপাট বন্ধ ছিল। বাজারগুলি বেশিরভাগই স্বাভাবিক ছিল। সরকারি বাস রাস্তায় ভোর থেকেই নেমে যায়। দূরপাল্লার বেসরকারি বাস, লোকাল বাসও বেলা বাড়তে রাস্তায় নামে। অটো, টোটো আর দশটা দিনের মত চলাচল করেছে। বনধ সমর্থকের পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। সিপিএমের একটি ছোট মিছিল হিলকার্ট রোডে বনধের সমর্থনে বার হয়েছিল।