আড়ালে: জঙ্গলের মধ্যে হাতি। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
জঙ্গল থেকে লোকালয়ের চলে এল দুটি পুরুষ হাতি।
রবিবার সকালে বক্সিরহাটের আটিয়ামোচড়ের খাগরিবাড়ি-তিরকিপাড়া ফুটবল মাঠের পাশে জঙ্গলে হাতি দু’টিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন সেখানে। হাতি দু’টি সেখানেই দাঁড়িয়েই থাকে দিনভর। ক্ষয়ক্ষতি কিছু করেনি। সকালেই ছুটে যান বন বিভাগের কর্তারা। তাঁরা জানান, বক্সা থেকেই হাতিগুলি এসেছে। বক্সা থেকে এলিফ্যান্ট স্কোয়াডও যায়। কোচবিহারের ডিএফও বিমান বিশ্বাস বলেন, “হাতি দুটিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।”
স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীরা অবশ্য জানাচ্ছেন, এখন সে ভাবে না এলেও ওই এলাকায় এক সময় হাতির নিত্য যাতায়াত ছিল। পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ন্যাস গ্রুপের সম্পাদক অরূপ গুহ বলেন, ‘‘আটিয়ামোচড়ের জঙ্গলের সঙ্গে এক সময় মানস, বক্সার জঙ্গলের যোগাযোগ ছিল। সেই পথ ধরেই হাতি চলাচল করত। সেই হিসেবে বাপ-ঠাকুর্দার চলাচল করার পথে তারা আবার এসেছে বলা যায়।’’
ওই এলাকায় এমন ঘটনা প্রথম। তাই হাতি ঢুকেছে শুনেও প্রথমে অনেকে বিশ্বাস করেননি। বন দফতর গিয়ে জনতাকে সরিয়ে দেয়। গোটা এলাকা ঘিরে ধরে জঙ্গলে যাওয়ার পথ খোলা রেখেছেন তাঁরা। কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তিনি বলেন, “কেউ যদি ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার না হন সেদিকে লক্ষ রাখা হচ্ছে।” তুফানগঞ্জ-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি স্বপন সাহা বলেন, “হাতি দুটি জঙ্গলে না ফেরা পর্য়ন্ত আমরা উদ্বেগে আছি। বন দফতরের সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসন ওই গ্রামে আছে।”