নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোচবিহারের দু’শো ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করতে পারেনি প্রশাসন। আগামী দু’ সপ্তাহের মধ্যে ওই সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শেষপর্যন্ত একশো শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রেই জানা গিয়েছে, তুফানগঞ্জ ও মেখলিগঞ্জ মহকুমায় প্রত্যন্ত কিছু এলাকা রয়েছে। যেখানে কয়েক কিলো মিটার বালির চর পেরিয়ে জনবসতি এলাকা। তার ওপর কিছু ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যেতে হয় অসমের সীমানা পেরিয়ে। ফলে ওই এলাকায় কিছু অংশে বিদ্যুতের সংযোগ বা খুঁটি কিছুই নেই। প্রাথমিক সমীক্ষায় এমন ১৫টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের তালিকা করা হয়েছে। শনিবার কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “সমস্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেই বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করার চেষ্টা হচ্ছে। তবে ১৫টি বুথের জন্য জেনারেটর কিংবা ইনভার্টার কিনে বা ভাড়া নিয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে।”
এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের ভোটার তালিকায় নাম তোলা, সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়ার ব্যাপারেও প্রশাসনিক তৎপরতার কথা জানানো হয়। কমিশনের নির্দেশ এলেই ওই ব্যাপারে কাজ শুরু করা হবে। ওই বাসিন্দাদের জন্য মেখলিগঞ্জে ১১টি, দিনহাটায় ১৫টি, শীতলখুচিতে ১৮টি, সিতাইয়ে ৪টি, নাটাবাড়িতে ২টি, ও তুফানগঞ্জে ১টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।