নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার ডাকা বোর্ড মিটিং বয়কট করল বাম ও বিজেপি কাউন্সিলররা। শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে ইংরেজবাজার পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বাম কাউন্সিলরেরা। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যে এখনও নির্বাচন বিধি লাগু রয়েছে। এমন অবস্থায় পুর চেয়ারম্যান তথা ইংরেজবাজারের তৃণমূল প্রার্থী বোর্ড মিটিং ডাকতে পারেন না। তাই জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়ে সভা বয়কট করা হয়েছে।
এ দিকে, তদন্তের নামে পুলিশ মহিলাদের শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ তুলে মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন জেলার বাম নেতারা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ‘‘ইংরেজবাজারে পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে না। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে তদন্তের নামে মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। তাই থানাতে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আগামীতে জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছেও স্মারকলিপি দেওয়া হবে।’’ তাঁর দাবি, কৃষ্ণেন্দুবাবু চেয়ারম্যানের পাশাপাশি তৃণমূলের প্রার্থীও। তাই উনি বোর্ড মিটিং ডাকতে পারেন না। তাই তাঁদের দলের কাউন্সিলরেরা বোর্ড মিটিং বয়কট করেছেন।
যদিও বিরোধীদের অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ ইংরেজবাজারের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী বোর্ড মিটিং ডাকা হয়েছে। নিয়মে বলা রয়েছে নির্বাচনের সময় কোনও প্রকল্প ঘোষণা করা যাবে না। সারা বছর পুরসভা যা পরিষেবা দেয় সেই সব বিষয় নিয়ে সভা ডাকা হয়েছে। এখন ওনারা যদি না আসেন তাহলে আমার করার কিছু নেই।’’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২১ এপ্রিল পুরসভার প্রত্যেক কাউন্সিলরকে চিঠি দিয়ে মাসিক বোর্ড মিটিং এর কথা জানানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে পুরসভার সভা ডাকা হয়। পানীয় জলের সমস্যা থেকে শুরু করে নিকাশি নালার বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য এই বোর্ড মিটিং ডাকা হয়েছিল। ইংরেজবাজার পুরসভায় ২৯ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। এঁদের মধ্যে শাসক দলের ১৫ জন। পরবর্তীতে বিজেপির তিনজনের মধ্যে একজন তৃণমূলে যোগ দেন। বামেদের নয় এবং বিজেপি দুই, এই ১১ জন কাউন্সিলর এ দিন সবা বয়কট করেছেন। তবে তৃণমূল কাউন্সিলরদের নিয়েই সভা হয়। পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী সিপিএমের সুতপা ঘোষ বলেন, ‘‘বিরোধীদের কখনও গুরুত্ব দেন না পুরপ্রধান। এখন ভোটের মুখে নিজে প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও সভা ডাকলেন তিনি। তাই আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়ে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি।’’ পুর চেয়ারম্যান পুলিশকে ব্যবহার করে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।