প্রতীকী চিত্র।
প্রতিষেধক দিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বাগানে এসেছেন প্রশাসনের কর্তারা। তা শুনেই শ্রমিক মহল্লায় বাড়ি থেকে পালানোর হিড়িক পড়ল প্রবীণদের। সোমবার এমনই ঘটনা ঘটল আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি চা বাগানে। যা শুনে অবাক জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা। ওই প্রবীণদের বুঝিয়ে প্রতিষেধক শিবিরে নিয়ে যেতে শ্রমিক মহল্লায় গেলেও, বাড়িতে তাঁদের অনেকের দেখা পাননি বাগান কর্তৃপক্ষ।
বয়সের ভারে টিকা শিবির পর্যন্ত যেতে পারছেন না, এমন প্রবীণ নাগরিকদের কথা ভেবে ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ারে ‘দুয়ারে প্রতিষেধক’ কর্মসূচি চালু করেছে প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনিক সূত্রে খবর, করোনার প্রভাবে রাজ্য জুড়ে চলা কড়া বিধিনিষেধের জেরে অনেক জায়গাতেই এই মুহূর্তে যানবাহন চলাচল কমে গিয়েছে। সেই সমস্যার জেরে জেলার বিভিন্ন এলাকায়, বিশেষ করে অনেক চা বাগানে প্রবীণ বাসিন্দারা প্রতিষেধক কেন্দ্রে যেতে সমস্যায় পড়ছেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই আলিপুরদুয়ারে ‘বাগানে প্রতিষেধক’ কর্মসূচিও চালু করা হয়েছে।
সোমবার আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি চা বাগানে এই কর্মসূচির সূচনায় উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা। তিনি জানান, অনেক চা বাগানে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বাকি বাগানেও শুরু হচ্ছে।
বাগান সূত্রের খবর, এ দিনের এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে রবিবার থেকেই বাগানের প্রবীণ নাগরিকদের নাম নথিভুক্ত করা শুরু হয়। সেই অনুযায়ী মোট ৮৩ জন নাম নথিভুক্ত করেন। কিন্তু অভিযোগ, এ দিন প্রতিষেধক প্রদান শুরু হতে না হতেই বাগানের জিত্পুর ডিভিশনে বাড়ি থেকে পালাতে শুরু করেন একের পর এক প্রবীণ নাগরিক। খবর পেয়ে সেখানে যান বাগান ম্যানেজার চিন্ময় ধর। কয়েক জনকে বুঝিয়ে শিবির পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারলেও, প্রায় সাত-আটজন প্রবীণের হদিসই মেলেনি। এক বৃদ্ধা বলেন, “শুনেছি প্রতিষেধক নিলে প্রচণ্ড জ্বর আসে। তাই প্রতিষেধক নেব না বলে ঠিক করেছি।” এ দিন শেষ পর্যন্ত ৭০ জনকে টিকা দেওয়া হয়। বাগান ম্যানেজার বলেন, “শ্রমিকদের স্বার্থেই তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষেধক নেওয়া আবশ্যিক করতে চাইছি আমরা।”