Murder

ভাইকে পিটিয়ে মেরে দাদা ফেলে যায় ভুট্টা ক্ষেতে, বৌদির সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ থাকায় খুন মালদহে?

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাড়োল গ্রামে ভুট্টার ক্ষেত থেকে উদ্ধার হয় এক যুবকের পচাগলা দেহ। সেই হত্যাকাণ্ডের কিনারা হল ১৮ দিন পর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৩ ১৮:৪৬
Share:

ভাইকে খুনের অভিযোগে ধৃত দাদা। প্রতীকী চিত্র।

বৌদির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক আছে, এই সন্দেহে ভাইকে পিটিয়ে খুন করে দেহ জমিতে ফেলে গিয়েছিল দাদা! ঘটনার প্রায় এক মাস বাদে ওই অপরাধের কিনারা করল পুলিশ। এই ঘটনা মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাড়োল গ্রামে ভুট্টার ক্ষেত থেকে উদ্ধার হয় এক যুবকের পচাগলা দেহ। মৃতদেহের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তা দেখে চেনা অসম্ভব ছিল। এর পর বিশেষ দল তৈরি করে তদন্ত শুরু করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা। নিহতের পরিচয় জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জানতে পারেন, ওই মৃতদেহটি সুলতাননগর এলাকার ফুটকিপাড়ার বাসিন্দা সফিকুল ইসলামের। তিনি পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু তার পর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আশ্চর্যজনক ভাবে কোনও থানাতেই সফিকুলের পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়নি। তখন সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা যায়, সফিকুলের দাদা শেখ আসারুল ওরফে বাল্লার সন্দেহ ছিল, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে ভাইয়ের। ভাই বাড়ি ফিরতেই দাদার সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ, ঝামেলা চলাকালীন উত্তেজনার বশে বাইকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করেন দাদা। এর পর তাঁর দেহ ভুট্টা ক্ষেতে দেহ ফেলে দেন তিনি। পুলিশের দাবি, ১৩ মার্চ তারিখ পরিবারের কাছে অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন অভিযুক্ত। ১৪ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। মলদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement