Saikat Chatterjee

সকালেই সৈকতকে নিয়ে কর্মসূচি বাতিল করল ব্লক তৃণমূল

মঙ্গলবার সকালে শহর ব্লকের কর্মসূচিতে ‘দিদির দূত’ হয়ে যাবার কথা ছিল সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার সকালে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’-এর সে কর্মসূচিই বাতিল করে ব্লক তৃণমূল।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:৪১
Share:

তবু: কর্মসূচি বাতিল হলেও বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরছেন সৈকত। নিজস্ব চিত্র।

সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় তৃণমূলের পরামর্শদাতা সংস্থা থেকে জেলা নেতৃত্বের কাছে নির্দেশ আসে, মঙ্গলবার সকালে শহর ব্লকের কর্মসূচিতে ‘দিদির দূত’ হয়ে যাবেন সৈকত চট্টোপাধ্যায়। পরের দিন, মঙ্গলবার সকালে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’-এর সে কর্মসূচিই বাতিল করে ব্লক তৃণমূল। যদিও পরে দেখা যায়, ব্লক তৃণমূলের বাতিল করা কর্মসূচির ঢঙেই যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার উপ পুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায় ‘দিদির দূত’ হয়ে ঘুরলেন শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের খবর, এক দম্পতিকে আত্মহত্যায় ‘প্ররোচনা’ দেওয়ার অভিযোগ-সহ একাধিক বিতর্কে জড়ানো সৈকতকে সামনে রেখে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি করা হবে কি না, তা নেতৃত্বের কাছে জানতে চেয়েছিলেন শহর ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা পুরপ্রতিনিধি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। দিন দশেক আগে পাঠানো সেই চিঠির কোনও উত্তর পায়নি জেলা তৃণমূল। উল্টে, সোমবার রাতে দলের পাঠানো তালিকায় সৈকতকেই ‘দিদির দূত’ হিসাবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানায় দল। এ দিন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় গোটা কর্মসূচিই বাতিল করে দেয় ব্লক তৃণমূল। যদিও সৈকত নিজে সেই কর্মসূচি করেন এবং তাতে দলের জেলা নেতাদের কাউকে দেখা যায়নি।

ব্লক তৃণমূল সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দলের কাছে কিছু প্রস্তাব এবং বেশ কিছু বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল। কোন ধরনের নেতাদের সামনে রেখে কর্মসূচি হবে জানতে চেয়েছিলাম। সে বিষয়ে কোনও উত্তর না পাওয়ায় কর্মসূচি বাতিল হয়েছে।” এ দিন সৈকতকে সামনে রেখে যুব তৃণমূলের কর্মসূচি প্রসঙ্গে তপন বলেন, “দলের কর্মসূচি তো বাতিলই হয়েছে। তার পরে যে কর্মসূচি হয়েছে, তাতে দলের অনুমোদন ছিল না।” অন্য দিকে, ব্লক তৃণমূল কর্মসূচি বাতিল করা নিয়ে সৈকতের মন্তব্য, “কে, কী করেছে আমি জানি না। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই কর্মসূচি করছি।”

Advertisement

দম্পতি আত্মহত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে মঙ্গলবার এ ভাবেই জেলা তৃণমূলের অন্দরে ‘ফাটল’ আরও এক বার পরিষ্কার হয়েছে বলে কর্মীদের একাংশের দাবি। পুরসভার প্রাক্তন উপপ্রধান অপর্ণা ভট্টাচার্য এবং জেলা শিশুকল্যাণ সমিতির প্রাক্তন সদস্য সুবোধ ভট্টাচার্যকে আত্মহত্যায় ‘প্ররোচনা’ দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পরেই সৈকত দাবি করেছিলেন, বিষয়টি ‘রাজনৈতিক’। যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ দাবি করেছিলেন, বিষয়টি ‘ব্যক্তিগত’। এ দিন তপন বলেন, “জেলা সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করেই কর্মসূচি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

এ দিকে, আত্মঘাতী দম্পতির কন্যা তানিয়া ভট্টাচার্য তাঁর এলাকার ক্লাব এবং পুজো কমিটিকে লিখিত ভাবে নিরাপত্তার অভাব বোধ করার কথা জানিয়েছিলেন। পান্ডাপাড়ার ক্লাবের তরফে গত সোমবার বৈঠক করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পাড়ার বাসিন্দা হিসেবে তানিয়ার পাশে দাঁড়ানোহবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement