মাতাল গাড়ি চালক, বাইক আরোহীরা যেন রাতভর লুকোচুরি খেলল শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি, দুই শহরের পুলিশের সঙ্গে। বর্ষবরণের উৎসবের দিন, রবিবার ভোর পর্যন্ত তাই পুলিশের ছোটাছুটির অন্ত ছিল না। রাত ১২টার পর শুরু হওয়া অভিযান ৫টা নাগাদ শেষ করেছে পুলিশ। জাতীয় সড়ক থেকে শহরের ব্যস্ত রাস্তা, নদীর পার, উপনগরী থেকে হোটলে, শপিংমল বা বিনোদন পার্ক, সর্বত্রই ছিল বিধি ভাঙার প্রবণতা। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতি বছরের উৎসবের দিনগুলির পর নির্দিষ্ট রাস্তা, এলাকায় নাকা তল্লাশি না করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে চলছে অভিযান।
শিলিগুড়িতে গ্রেফতার হয়েছে ৩৭ জন। জলপাইগুড়িতে ৩ মহিলা সহ ৩৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। দুই জেলা সদরে ২৫০টি বাইক, ৭৫ জন গাড়ি চালককে জরিমানা করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে শতাধিক গাডি, বাইক।
রাতে রাস্তায় নেমে গোটা অভিযানের তদারকি করেন খোদ পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা, ডিসি (সদর) ইন্দ্র চক্রবর্তী-সহ কমিশনারেকেট ডিসি, এসিপি ও অফিসারেরা। পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘কোথাও কোনও বড় গোলমাল, দুর্ঘটনা হয়নি। আমরা সন্ধ্যার পর থেকেই সতর্ক ছিল। দলে দলে বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি করা হয়েছে।’’
জলপাইগুড়ি পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, মাঝরাতেই শহরের নানা এলাকায় মদ্যপদের দাপাদাপির অভিযোগ পায় পুলিশ। অভিযানে নেমে তিন মহিলা ও তিন পুরুষকে গ্রেফতার করা হয় স্পোর্টস কমপ্লেক্স এলাকা থেকে৷ তাদের থেকে একটি গাড়িও আটক করে পুলিশ। জেলার অন্য থানা এলাকায় ৬০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে বলেন, ‘‘বর্ষবরণ নির্বিঘ্ন করাতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজ, রাতভর অভিযান চলবে।’’
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারেটের কয়েকজন অফিসার জানান, সময়ের পর মাটিগাড়ার, সেবক রোড, বর্ধমান রোডের অনুষ্ঠানগুলি শেষ হতেই রাস্তায় নেমে পড়েন বহু যুবক যুবতী। গাড়ি, বাইক তো বটেই টোটো ভাড়া করেও নতুন বছরের উল্লাসে মাতেন শহরবাসী। বেপরোয়া বাইক চালকদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়। কোথাও যানজটও হয়। তখনই বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে হঠাৎ হঠাৎ তল্লাশি শুরু করা হয়। গাড়ির নথিপত্র আটকে দাঁড় করানো হয় চালকদের। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি নিয়ে মারামারিও হয়।