খুশি: পুরসভা ঘোষণায় কেক কাটলেন তৃণমূল কর্মীরা। ফালাকাটা। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য বিধানসভায় বিধান পরিষদ প্রস্তাব পাশ হওয়ার দিনই পুরসভা পেল ময়নাগুড়ি এবং ফালাকাটা। মঙ্গলবার, জলপাইগুড়ির সদর মহকুমাশাসককে ময়নাগুড়ি পুরসভার প্রথম প্রশাসক হিসেবে বসিয়েছে রাজ্য সরকার। ফালাকাটা পুরসভার প্রশাসক হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক। পুরসভার ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা উত্তরের এই দুই জনপদের পুর-পরিকাঠামো তৈরির প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এ দিন থেকেই ময়নাগুড়ি এবং ফালাকাটা পুরসভা হিসেবে স্বীকৃতি পেল।
মঙ্গলবার ফালাকাটার বিডিও প্রস্তাবিত পুর এলাকার সব গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের ডেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত প্রতিনিধি হিসেবে তাঁদের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। ফালাকাটার পারঙ্গেরপার গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে পুরসভা অফিস পরিচালিত হবে। প্রথম অবস্থায় পুরসভার কাজকর্ম দেখভালের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও খবর।
ফালাকাটা এবং ময়নাগুড়ি পুরসভা দু’ক্ষেত্রেই গেজেট বিজ্ঞপ্তি আগেই প্রকাশিত হয়েছিল। চলতি বছরের গোড়াতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরের দুই জনপদকে পুরসভা ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তারপরেই সরকারি প্রক্রিয়াও শুরু হয়। এ দিন ফালাকাটা বিডিও অফিসের সভাঘরে পুরসভার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। ফালাকাটার ভিডিও সুপ্রতিক মজুমদার বলেন, ‘‘পুরসভার ওয়ার্ডের বিন্যাস কী ভাবে হবে তার একটি প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেটি বিবেচনা করে নির্দেশিকা জারি করবেন।’’
দুই পুরসভা ঘোষণার নির্দেশিকায় আগামী ছ’মাসের জন্য প্রশাসক বসানোর কথা উল্লেখ্ করা হয়েছে। যদিও সূত্রের খবর, চলতি বছরে রাজ্যে যে সব পুরসভায় ভোট হওয়ার কথা সেগুলির সঙ্গে ময়নাগুড়ি এবং ফালাকাটাতেও ভোট হবে। নির্বাচিত নতুন পুরবোর্ড এসে পুরসভার বাকি পরিকাঠামো তৈরি করবেন। প্রশাসনের দাবি, এ দিন থেকেই দুই জনপদের বাসিন্দারা পুর পরিষেবা পাবেন। পুর এলাকায় রাজ্য সরকারের যে সব প্রকল্প চলছে, তার সবেরই সুযোগ পাবেন বাসিন্দারা।
পুরসভা ঘোষণা নিয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল শিবির। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা অক্ষরে অক্ষরে রেখেছেন। নতুন পুর এলাকার বাসিন্দারা উন্নয়নের সঙ্গে থাকবেন।’’
তবে পুরসভার ঘোষণা স্বত্ত্বেও ফালাকাটা এবং ময়নাগুড়ি দুই বিধানসভাতেই এ বারের ভোটে বিজেপি জিতেছে। ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা বিজেপির চন্দ্রশেখর সিংহ বলেন, ‘‘আমরা উন্নয়নের সঙ্গে আছি। আগামী ছ’মাসের মধ্যে পুরভোট যেন করানো হয়।’’ (তথ্য: অনির্বাণ রায়, পার্থ চক্রবর্তী ও অরুণাংশু মৈত্র)