লাইনে: অসুস্থ শিশুদের নিয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিজস্ব চিত্র।
জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে অসুস্থ শিশুরা আসছেই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। এই পরিস্থিতিতে সব হাসপাতালকে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। সেই মতো অক্সিজেন সিলিন্ডার, ছোটদের অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। শয্যার অভাবে যাতে শিশুকে মেঝেয় রাখতে না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য দফতরের উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক তথা ওএসডি সুশান্ত রায় বলেন, ‘‘সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। রেসপিরেটরি ভাইরাসের প্রভাবে এ ধরনের জ্বর এ সময় হয়। তবে করোনা আবহে এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাড়তি সাবধানতা নিতে হচ্ছে। সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।’’ জলপাইগুড়ি এবং শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে অসুস্থ শিশুদের নমুনা কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠিয়ে জানা যায়, অনেকেরই রেসপিরেটরি সিনসিটায়াল ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটছে। যা প্রতি বছরই এ সময় ঘটে থাকে বলে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি।
রবিবার শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে দুপুর পর্যন্ত ১২ জনকে ভর্তি করানো হয়েছে। শনিবার বিকেলের পর থেকেও অনেকে ভর্তি হয়। সেই মতো এ দিন সকালে ৮৪টির মতো শিশু ভর্তি ছিল। পরে ২৭ শিশুকে ছুটি দেন চিকিৎসকেরা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও জ্বর নিয়ে এ দিন অনেককে ভর্তি করানো হয়েছে। তার মধ্যে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে দুই শিশুকে এবং নকশালবাড়ি হাসপাতাল থেকে এক শিশুকে রেফার করা হয়েছে। সেখানে অন্তত ২১ শিশু এ দিন ভর্তি রয়েছে।
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অসুস্থতা নিয়ে বাচ্চারা ভর্তি হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। অন্যান্য বছরের মতো এ সময় জ্বর হয়ে থাকে। তবে সমস্ত ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। যাতে যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হয়।’’ বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মতো হাসপাতালে শিশুদের চিকিৎসার সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে গত কয়েকদিনে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মালদহে গত পাঁচ দিনে সাত শিশু মারা গিয়েছে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে। মালদহের পরিস্থিতিতে, মালদহ মেডিক্যালের প্রস্তুতি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে দু’একদিনে জনস্বাস্থ্য দফতরের উত্তরবঙ্গের ওএসডি সেখানে যাওয়ার কথা। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে শিশুদের চিকিৎসার জন্য যে সমস্ত পরিকাঠামো জুলাই-অগস্ট মাসের মধ্যে প্রস্তুত করতে বলা হয়েছিল, তা অনেক ক্ষেত্রেই হয়নি বলে অভিযোগ।