নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।
দেশে পর্যটনশিল্পের বরাদ্দ এবং উন্নয়ন কার্যত বিহার এবং ওড়িশার মধ্যে সীমাবদ্ধ রইল। উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, দিঘা বা সুন্দরবনের জন্য বরাদ্দ তো দূর, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের মঙ্গলবারের বাজেট-বক্তব্যে নামোল্লেখটুকু থাকল না। তাতে হতাশ রাজ্যে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতেরা।
রাজ্য সরকারের পর্যটন বিষয়ক ‘টাস্ক ফোর্স’-এর সদস্য সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের কথা হয়তো কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ভুলে গিয়েছেন। পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্রের মেলবন্ধনের এ রাজ্যের জন্য এক লাইন বরাদ্দ হল না। পর্যটনশিল্পের পক্ষে হতাশাজনক।’’
পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, গত বছর শিলিগুড়িতে পর্যটন বিষয়ক জি২০ শীর্ষ বৈঠক হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রের শীর্ষ আমলারা উপস্থিত ছিলেন। কোভিডের প্রকোপে ধুঁকতে থাকা পর্যটন ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করার জন্য নানা বার্তা দেওয়া হয় সে সম্মেলনে। শিলিগুড়়ি, দার্জিলিং থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা শুরু হয়। যৌথ বিনিয়োগের আলোচনা হয়। দার্জিলিঙের হেরিটেজ টয় ট্রেনের প্রসঙ্গ সামনে আসে। আশা করা হয়, বাজেটে নতুন করে এ অঞ্চলের জন্য কিছু ঘোষণা হবে।
পর্যটন সংগঠন ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়ম নেটওয়ার্ক’-এর কো-অর্ডিনেটর তন্ময় গোস্বামী বলেন, ‘‘দেশের পর্যটন শিল্প বলতে শুধু বিহার, ওড়িশা বোঝা গেল। বাকি রাজ্যের সঙ্গে বরাবরের মত পশ্চিমবঙ্গ উপেক্ষিতই থাকল।’’
দার্জিলিং, কালিম্পঙের পাহাড়ি এলাকা ছাড়াও, উত্তরবঙ্গে বিস্তীর্ণ জঙ্গল রয়েছে। পর্যটন দফতর সূত্রের দাবি, রাজ্য সরকার সে সব নিয়ে নানা পর্যটন পরিকল্পনার কথা বলেছে। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে কোনও পরিকল্পনা নেই, তা স্পষ্ট করা হল। কেন্দ্রীয় বাজেট এ বার বিদেশে এ দেশের পর্যটন শিল্পের প্রসারের বাজেট ১০০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ৩৩ কোটি টাকা করা হয়েছে।