প্রতীকী ছবি।
দেবীপক্ষের তৃতীয়ার সন্ধ্যায় প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ল শিলিগুড়ি শহর ও লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকায়। বেহাল নিকাশির কারণে রাস্তায় জল জমে যাওয়ায় পুজো প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটে।
শেষ মুহূর্তের পুজোর বাজারের কেনাকাটাও থমকে যায়। শহরের বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানেও কিছুটা সমস্যা হয়ে যায়। দেশবন্ধুপাড়ার এনটিএস মোড়ে জল জমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন দর্শনার্থীরা। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বৃষ্টির বেগ কমে। তবে অনেক রাস্তা থেকে জল সরতে মাঝরাত গড়িয়ে যায়। শিলিগুড়ির মেয়র তথা সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শহরের পুজো প্রস্তুতিতে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য পুরসভার বিশেষ টিম রাস্তায় রয়েছে। নির্বিঘ্নে পুজো দেখা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে আরও টিম পথে নামবে।’’
সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এখনও বর্ষা যায়নি। কিন্তু, অন্যান্যবারের তুলনায় পুজো এগিয়ে আসায় বৃষ্টির কথা মাথায় রেখেই যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, অষ্টমী ও নবমীতে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। তাই তৃতীয়ার সন্ধ্যায় পুজো দেখতে কিছুটা ভিড় হয়। কেনাকাটার জন্য বাজার, শপিং মলেও ছিল উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু, সন্ধ্যা থেকে হালকা বৃষ্টি নামে।
রাত একটু বাড়তেই শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎ সহ মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়। তাতেই বিপর্যস্ত হয়ে শহর শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দল নেতা রঞ্জন সরকার পুজোর প্রাক্কালে কেন শহরের নিকাশির হাল দেখে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সেই প্রশ্ন তোলেন। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘পুরসভার যা কাজ সেটাই ঠিকঠাক হচ্ছে না। তাই পুজোর মরসুমেও শিলিগুড়ির ভোগান্তি কমছে না।’’