কোরক হোমের সুপার দেবব্রত দেবনাথকে বদলি করল রাজ্য সরকার।
এক আবাসিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে সিবিআই তদন্ত চলাকালীনই বদলি করে দেওয়া হল জলপাইগুড়ির সরকারি কোরক হোমের সুপারকে। গত ডিসেম্বরে শিশু-কিশোরদের এই হোমে এক বিচারাধীন আবাসিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই আবাসিকের জামিনের আবেদন সে সময়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিবেচনাধীন ছিল। মৃত্যুর রিপোর্ট দেখে, হাই কোর্ট এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। জুলাই মাসের মধ্যে চার্জশিট জমা করতে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইকে। তারই মধ্যে কোরক হোমের সুপার দেবব্রত দেবনাথকে বদলি করল রাজ্য সরকার। হোমের নতুন সুপারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গৌতম দাসকে। প্রাক্তন সুপার দেবব্রত দেবনাথকে পাঠানো হয়েছে রাজগঞ্জ ব্লকের সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক হিসেবে।
হোমের সুপারের পদের তুলনায় একটি ব্লকে প্রকল্প আধিকারিকের পদ কম গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই বদলি ‘শাস্তিমূলক’ কি না, চর্চা চলছে। তবো জেলা থেকে আধিকারিককে সরানো হয়নি। প্রশাসন সূত্রে দাবি, যেহেতু সিবিআই তদন্ত চলছে, তাই যে কোনও সময়ে আধিকারিককে জলপাইগুড়িতে আসতে হবে, ফলে দূরে বদলি করা হয়নি। যদিও জেলা স্তরের আধিকারিকেরা এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। সদ্যপ্রাক্তন সুপার দেবব্রত দেবনাথ বলেছেন, “গত জুন মাসে আমার বদলির নির্দেশ জারি হয়। কার্যকর হল এখন। যে কোনও দায়িত্বই গুরুত্বপূর্ণ।” সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করতে চাননি।
হোম-কাণ্ডে সিবিআইয়ের একটি দল জলপাইগুড়ির পূর্ত দফতরের বাংলোয় অফিস তৈরি করে তদন্ত চালিয়েছিল। হোমের সুপার ও বিভিন্ন আধিকারিক-কর্মীদের জেরা করেছে। বর্তমানে অস্থায়ী অফিসটি থাকলেও, তদন্তকারীরা নেই। সূত্রের খবর, আগামী মাসে সিবিআইয়ের আর একটি দল আসছে। জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চে সিবিআইয়ের তরফে সওয়ালে যোগ দেওয়া কেন্দ্রের কৌঁসুলি অজয় সিংহানিয়া বলেন, “সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে। হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ে চার্জশিটও দেবে।” মৃত নাবালকের পরিবারের আইনজীবী সুমন সেহানবীশ বলেন, “সুপার বদলির বিষয়টি খোঁজ নিতে হবে। আমরা সিবিআই রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।”