ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে

ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে শিলিগুড়িতে। বৃহস্পতিবার মেয়রের ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে তাঁকে নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৬ ০১:০৮
Share:

ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে শিলিগুড়িতে। বৃহস্পতিবার মেয়রের ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে তাঁকে নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। তা ছাড়া ডেঙ্গি আক্রান্ত বলে রিপোর্ট মেলায় পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে সেবক রোড়ের ধারে একটি আবাসনের বাসিন্দা বছর তেরোর এক কিশোরকে এ দিন প্রধাননগরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। কিশোরের নাম আশিস অগ্রবাল।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা বুধবার জানিয়েছিলেন, গত তিন সপ্তাহে শিলিগুড়ি শহরে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬। স্বাস্থ্য বিভাগের কয়েক জনের ধারণা সমস্ত নার্সিংহোমগুলিতে থেকে তথ্য মিললে আরও কয়েক জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলতে পারে। সে কারণে পরিস্থিতি সঠিক আঁচ করতে সমস্ত নার্সিংহোমগুলি থেকে রিপোর্ট নেওয়ার তৎপরতা শুরু হয়েছে।

পুরসভা এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়রের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মহম্মদ জাফরকে এ দিন খালপাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য এ দিন বিকেলে তাঁকে দেখতেও যান। তিনি বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তির ডেঙ্গি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসা চলছে। এক কিশোরেরও ডেঙ্গি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। এলাকায় যাতে কোথাও জল জমে না থাকে সে জন্য পুর কর্মীদের বলা হয়েছে।’’ পুরসভা সূত্রেই জানানো হয়, পুর বিধি অনুসারে নির্মাণ কাজের জায়গায় ড্রাম, চৌবাচ্চায় জল জমে থাকলে তা অপরাধ। জল যাতে না থাকে তারজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে সংশ্লিষ্ট মালিক বা নির্মাণ সংস্থাকে।

Advertisement

সেবক রোডের বাসিন্দা তের বছরের ওই কিশোর গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। তার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, খালপাড়ার একটি নার্সিংহোম থেকে তার রক্ত পরীক্ষা হয়েছে। তাতে ডেঙ্গির জীবাণু রয়েছে বলে জানানো হয়। জ্বর না কমায় এ দিন কিশোরকে নার্সিংহোমে ভর্তি করান পরিবারের লোকেরা। ওই কিশোরের মামা অমিত অগ্রবাল বলেন, ‘‘বাড়ির আশেপাশে কিছু ফাঁকা জায়গায় জল জমে রয়েছে। ওই জমা জলে মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে।’’ ফ্ল্যাটের লিফটের ঘরেও জল জমেছিল। বুধবার তা পাম্প চালিয়ে বার করা হয়।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওই দুই ব্যাক্তির ডেঙ্গি পরীক্ষা ‘র‌্যাপিড কার্ড’ দিয়ে করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সেই রিপোর্ট যথার্থ বলে মনে করে না। দুই রোগীর রক্তের নমুনা এলাইজা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই তাদের ডেঙ্গি হয়েছে কি না পরিষ্কার হবে।’’

ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে এক কলেজ ছাত্রকে ভর্তি করা হয়েছে। ইটাহারের চৌরাস্তা মোড় এলাকার বাসিন্দা সৌরভ অগ্রবাল নামে দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রকে বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করেন তার পরিবারের লোকজন। সৌরভ কলকাতায় থেকে পড়াশোনা করে বলে জানা গিয়েছে। জ্বর না কমায় পরিবারের লোকেদের পরামর্শে সে বাড়ি ফিরে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ দিন দুপুরে তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। হাসপাতাল সুপার গৌতম মণ্ডল জানান, একটি বেসরকারি প্যাথলজিক্যাল সেন্টারের রিপোর্টের ভিত্তিতে সৌরভের শরীরে ডেঙ্গির জীবানু থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে রক্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর ডেঙ্গি হয়েছে কী না এই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement