— প্রতীকী চিত্র।
ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে শিলিগুড়ি শহরে। শনিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যাটা ১০০ পার করে ফেলেছে। পুরসভার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা ১০২ জন। এর মধ্যে শহরের ৫, ৮, ৪২ নম্বরের মতো ওয়ার্ডগুলোতে আক্রান্ত হয়েছেন বাসিন্দারা। বিশেষ করে ৫ নম্বর-সহ ২৭, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গি মশার লার্ভা মিলছে। পরিস্থিতি যাতে না বাড়ে সে জন্য ভেক্টর কন্ট্রোল টিমকে সক্রিয় হতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত বলেন, ‘‘আক্রান্তের সংখ্যা একশো ছুঁই ছুঁই ছিল। ইতস্তত কয়েকটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি সংক্রমণ হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে। এ বছর রাজ্যে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে শিলিগুড়ি শহর ভাল কাজ করেছে। সে ভাবে ডেঙ্গি সংক্রমণ হয়নি।’’ তাঁর সংযোজন, ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ নিয়মিত চলছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।পুজোর সময় থেকেই এ বছর ডেঙ্গি বাড়তে শুরু করে। সপ্তাহে আগে যেখানে দুটো, তিনটে করে সংক্রমণ মিলছিল, পুজোর সময় থেকে সেখানে ৭ জন, ১০ জনের সংক্রমণ মিলছে।
ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিরোধী বিজেপি, সিপিএম কাউন্সিলরেরা। তাঁদের সন্দেহ, গত দু’বছরে যেখানে ৩ হাজার ও পাঁচ শতাধিক ডেঙ্গি সংক্রমণ মিলেছে, এ বার সেখানে এত কম কী করে হয়। তাঁদের সন্দেহ, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা চাপা দেওয়া হচ্ছে। পুর বোর্ড সভায় বিরোধীদের এই প্রশ্নের জবাব ঠারেঠোরে দিয়েছে বর্তমান তৃণমূলের ক্ষমতায় থাকা পুর বোর্ড। তাদের জবাব, পুর বোর্ড যে ভাল কাজ করছে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে, সেটা বিরোধীরা মানতে পারছে না। তবে এখন কিছুটা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় চিন্তা রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সিপিএম কাউন্সিলর জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা আমাদের সন্দেহের কথা পুর বোর্ডের সভায় বলেছি। তাঁরা বলছেন, ভাল কাজ হয়েছে। ইদানীং ওয়ার্ডে মশার উপদ্রব বেড়েছে। বিষয়টি অবজ্ঞা না করে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।’’ পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, বর্তমানে আক্রান্ত রয়েছেন তিন জনের মতো। শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির অমিত জৈন বলেন, ‘‘৭ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গিতে এ বছর এক শিশু মারাও গিয়েছে। কিন্তু পুরসভা সেটা মানতে চাইছে না। সে রকম ডেঙ্গিতে আক্রান্ত যাঁরা হচ্ছেন তাঁদের সবার নাম কি তালিকায় আসছ? সেটাই আমাদের প্রশ্ন। ওয়ার্ডে মশার উপদ্রব বেড়েছে।’’