ডেঙ্গির প্রকোপ অব্যাহত দক্ষিণ দিনাজপুরে। জেলার তপন ব্লকের চণ্ডীপুর অঞ্চলের বাজিতপুর এলাকায় গত দু’দিনে এক মহিলা এবং এক যুবক ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি। ওই গ্রামের আরও ৭ জন প্রবল জ্বর নিয়ে তপন এবং গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতাল ভর্তি রয়েছেন। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরে ফের তাঁরা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন।
বছর চব্বিশের শিশু রাউতকে রবিবার ফের বাজিতপুর থেকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এলাকার বাসিন্দা প্রণব বর্মন জানিয়েছেন, গত সোমবার তাঁর মা জয়ামণি বর্মনকে তপন গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দু’দিন পর বাড়ি থেকে ফের জয়াদেবীকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আক্রান্ত এলাকায় এখনও মেডিক্যাল টিম না যাওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, ‘‘বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে একমাত্র ডেঙ্গির ম্যাকঅ্যালাইজা পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে।’’ ডেঙ্গিতে কয়েক জন ভর্তি থাকলেও চিকিৎসায় তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে তাঁর দাবি। আক্রান্ত এলাকার পরিস্থিতি জানতে তিনি ব্লক মেডিক্যাল অফিসারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মরসুমে জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ২৪০ জন বালুরঘাট হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তবে আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবেও রোগ পুরো কমছে না বলে সুকুমারবাবু মনে করেন। বালুরঘাট ব্লকের চিঙ্গিসপুরের পিরোজপুর এবং হিলি ব্লকের পাঞ্জুল এলাকার রামকৃষ্ণপুরেও যথাক্রমে ১০ জন এবং ১১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার পর ওই দু’টি এলাকা জুড়ে মশা নিধনে পঞ্চায়েত ও স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ উদ্যোগে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরবর্তী কালে ফের ডেঙ্গি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে পঞ্চায়েতের তরফে নিয়মিত সাফাই অভিযানের অভাবে—এমন অভিযোগ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের।