বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমে’র (এবিটি) সদস্য মহম্মদ আফতাব ওরফে মাহিকে গ্রেফতারের পর ভারত-নেপাল সীমান্ত জুড়ে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কলকাতা-হাওড়ায় ধরপাকড় শুরু হওয়ার পরে পানিট্যাঙ্কি দিয়ে মাহি একাই কি নেপালে ঢোকার চেষ্টা করেছিল? নাকি তার সঙ্গে এবিটি-র লিঙ্কম্যানেরাও ছিল?
মঙ্গলবার এই পানিট্যাঙ্কি এলাকা থেকেই লালবাজারের স্পেশাল টাক্স ফোর্স বা এসটিএফ মাহিকে পাকড়াও করে কলকাতা নিয়ে যায়।
দার্জিলিং জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, কেএলও, মাওবাদী এবং আলফা জঙ্গিরা বরাবর নেপালে আত্মগোপন করেছে। বহু সংগঠনের সদস্য এই চত্বর থেকে ধরাও পড়েছে। একই সঙ্গে প্রতিবারই তাদের লিঙ্কম্যানদের হদিশও মিলেছে। মাহির সঙ্গে এই অঞ্চলে কাদের যোগাযোগ রয়েছে, তাই সেটা জানা খুবই জরুরি। রাজ্য পুলিশ কেএলও জঙ্গিদের ধরতে একসময় স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) তৈরি করেছিল। পুলিশের নানা স্তরে ওই অফিসারেরা এখনও কাজ করেন। তাঁদেরই কয়েক জন জানান, নেপাল সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামে খোঁজখবর করা হচ্ছে। পাশাপাশি, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং মালদহের স্পর্শকাতর বাংলাদেশ সীমন্তে নজরদারি চলছে।
গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, মাহি হঠাৎ কেন এই অঞ্চলে এল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, এখানে তার কোনও আত্মীয়, বন্ধু বা পরিচিত থাকে কিনা। গোয়েন্দারা জানান, এবিটি-র তামিম ওরফে স্বপন বিশ্বাস এবং নয়ন গাজির খোঁজ চলছে। বাকি ধৃতরা দক্ষিণবঙ্গ থেকে ধরা পড়লেও মাহিই একমাত্র এ দিকে পালিয়ে এসেছিল। শহরের যে সব এলাকায় হোটেল-লজে এসে বাংলাদেশিরা থাকেন, সেখানে মঙ্গলবার রাত থেকেই আলাদা করে রেকর্ড পরীক্ষা করা হচ্ছে।