প্রতীতী ছবি।
জ্বর হলেও হাসপাতালে আসছেন না অনেকেই, এমনটাই দাবি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কয়েক মাস ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। গত একমাসে জলপাইগুড়ি সদর ব্লক থেকে জ্বরে আক্রান্ত কোনও রোগীই ভর্তি হননি হাসপাতালে। ফলে ডেঙ্গি বা মশাবাহিত রোগ সংক্রমণ হয়েছে কিনা জানতে পরীক্ষা করানো যাচ্ছে না রোগীদের। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত জেলায় ১৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। এছাড়াও জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা দু’জন। জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি। এই পরিস্থিতিতে জ্বরের কারণ না জানতে পারলে তা পরে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সমস্যায় ফেলবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, করোনা আবহের মধ্যেই ভাইরাসঘটিত জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। জ্বরের রোগীরা হাসপাতালে না আসায় স্বভাবতই তাঁদের ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়ার পরীক্ষা করানো যাচ্ছে না। জেলায় এখনও পর্যন্ত যে ১৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। তাঁদের মধ্যে জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকায় ৪ জন, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে ১ জন, নাগরাকাটায় ৩ জন, মেটেলিতে ২ জন, মালবাজার ব্লকে ১ জন, মালবাজার পুরসভা এলাকায় ১ জন, রাজগঞ্জে ২ জন এবং ধূপগুড়ি পুরসভা এলাকায় ১ জন রয়েছেন ।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ নিতে অসুবিধেয় পড়ছেন। জ্বর হলে সকলকেই নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে প্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি দফতরের। ডেঙ্গির সাথেই জেলায় জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের সংক্রমণ ঠেকাতেও স্বাস্থ্য দফতর উদ্যোগী হয়েছে বলে দফতরের এক আধিকারিক জানান। এখনও পর্যন্ত এই রোগে জেলায় দু’জন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে বলে দাবি দফতরের। নাগরাকাটায় জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেন্দ্রনাথ প্রামাণিক জানান । এছাড়াও ধূপগুড়িতে এক জন জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়েছেন।
জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেন্দ্রনাথ প্রামানিক বলেন, ‘‘আমরা ধারাবাহিক ভাবে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করছি। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গি নিয়েও আমরা সতর্ক রয়েছি।’’