পাঁচ বৈঠকেও ঝুলে সমঝোতা

২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহ জেলায় কংগ্রেস, সিপিএম (বামফ্রন্ট), তৃণমূল, বিজেপি সব দলই এককভাবেই লড়াই করেছিল। মালদহ জেলা পরিষদের ৩৮টি আসনে ১৬টি করে আসন পেয়েছিল কংগ্রেস ও বামেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৩৬
Share:

পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বেজে গেল। তৃতীয় দফায় আগামী ৫ মে পঞ্চায়েত ভোট হবে মালদহ জেলায়। কিন্তু মালদহ জেলা পরিষদের ৩৮টি আসনে এখনও সমঝোতা হয়নি কংগ্রেস ও সিপিএমের। সূত্রের খবর, পাঁচবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেও এখনও সমাধান সূত্র মেলেনি। ২ এপ্রিল ফের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। তবে, তৃণমূলকে ঠেকাতে কংগ্রেস ও সিপিএম এক সঙ্গে চলতে চায়।

Advertisement

২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহ জেলায় কংগ্রেস, সিপিএম (বামফ্রন্ট), তৃণমূল, বিজেপি সব দলই এককভাবেই লড়াই করেছিল। মালদহ জেলা পরিষদের ৩৮টি আসনে ১৬টি করে আসন পেয়েছিল কংগ্রেস ও বামেরা। তৃণমূল পেয়েছিল মাত্র ছ’টি আসন। বামেদের দুই সদস্যের সমর্থন নিয়ে কংগ্রেসও বোর্ড গঠন করে। কিন্তু পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০১৬ সালে কংগ্রেস ও সিপিএম থেকে ১৭ জন সদস্যকে দলে নাম লিখিয়ে বোর্ড দখল করে নেয় তৃণমূল। ফলে এ বারের পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে ঠেকাতে মরিয়া কংগ্রেস ও সিপিএম দু’দলই। আর তাই, গত বিধানসভা নির্বাচনের ফর্মুলাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইছে তারা। কেন না, গত বিধানসভা নির্বাচনে অন্যান্য জেলায় কংগ্রেস ও সিপিএমের আসন সমঝোতা সে ভাবে কার্যকর না হলেও মালদহে ১২টি আসনের মধ্যে ১১টি আসনেই জোটপ্রার্থীরা জয়ী হয়। একটি পায় বিজেপি।

তৃণমূলের ভাঁড়ার শূন্য। কংগ্রেস ও সিপিএম সূত্রে খবর, তৃণমূলকে ঠেকাতে তাঁরা এ বার পঞ্চায়েতেও একসঙ্গে লড়াই করবে বলে প্রাথমিকভাবে জেলা পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে জেলা পরিষদে। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দু’দলের জেলা নেতৃত্ব ইতিমধ্যে পাঁচবার বৈঠক করেছে। কিন্তু সূত্রের খবর, আসন বণ্টন নিয়ে পুরোপুরি রফা না হওয়ায় জট কাটেনি।

Advertisement

কংগ্রেস সূত্রে খবর, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে আসনগুলিতে তারা জিতেছিল বা ভোটপ্রাপ্তির নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে ছিল এবং গত পাঁচ বছরে তাদের সংগঠন এখনও মজবুত রয়েছে সেই আসনগুলি চাইছে তারা। ৩৮ টি আসনের মধ্যে তাঁদের দাবি অন্তত ২৫টি। এই প্রস্তাব তারা সিপিএম নেতৃত্বের কাছে রেখেছে। অপরদিকে সিপিএম তথা বামেরা গত বার জয় পাওয়া আসনগুলি ও একটি বাড়তি আসন চাইছে। অর্থাৎ ১৭টি। জানা গিয়েছে, সিপিএম কালিয়াচক, চাঁচল ও হরিশ্চন্দ্রপুরে বেশি আসন দাবি করায় কংগ্রেস তা দিতে বেঁকে বসেছে। যার ফলে পাঁচবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেও সমাধান সূত্র বের হয়নি এখনও। ফের ২ এপ্রিল বৈঠকে বসবেন তাঁরা। এ দিন নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় রবিবার রাতেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।

মালদহ জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী, সাংসদ মৌসম নূর বলেন, ‘‘তৃণমূলকে হারাতে সিপিএম তথা বামেদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করছি সমাধান সূত্র মিলবে।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ‘‘তৃণমূল ও বিজেপি দু’জনকে হারাতে চাই। যা করার আমরা করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement