নদীতে মিলল হরিণের রক্তাক্ত মৃতদেহ। শনিবার সকাল দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ির কাছে একটি বার্কিং ডিয়ার ঢোকার খবর পান দমনপুর রেঞ্জের কর্মীরা।
এলাকায় হরিণ ঢুকলেও কিছুক্ষণ পর থেকে হরিণটির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিকেলে ওই এলাকায় নোনাই নদীতে ভেসে ওঠে হরিণটির দেহ। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এফডি উজ্জল ঘোষ জানান, দেহটি একটি পূর্ণবয়স্ক বার্কিং ডিয়ারের।
বনকর্মীদের একাংশের সন্দেহ, দোলের আগে অনেক আদিবাসী জনজাতির মানুষেরা শিকার উৎসব মালন করেন। সে কারণেও হরিণটিকে মেরে লুকিয়ে ফেলা হয়ে থাকতে পারে। গ্রামবাসীদের একাংশ জানান, সকালেই লোকালয়ে আসা হরিণটিকে ধাওয়া করে কিছু লোক। হরিণটি মাঝেরডাবরি চা বাগান পার করে ছুটতে ছুটতে দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ি এলাকায় চলে আসে। ততক্ষণে বন দফতরের কর্মীরাও খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছন। লোকগুলি হরিণটির পিছু নিয়ে নোনাই নদীতে নেমে পড়ে। ওই লোকগুলিকে নদী থেকে উঠতে দেখেন বাসিন্দারা। সেই সময় বনকর্মীরা এলাকায় পৌঁছে আর হরিণটিকে দেখতে পাননি।
মাসখানেক আগেই আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন চাপাতলি গ্রামে একটি চিতাবাঘ মেরে লেজ, পা কেটে চোখ উপড়ে নেয় গ্রামবাসীরা। ফের বন্যপ্রাণী মারার ঘটনা ঘটল। উজ্জলবাবু জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হচ্ছে।