ফাঁকা: উত্তর দিনাজপুরে যখন পুজোর পরপরই ফিভার ক্লিনিকে এসেছেন বাসিন্দারা, বেড়েছে লালারস সংগ্রহ, দক্ষিণ দিনাজপুরে তখন অসচেতনতারই ছবি। প্রায় ফাঁকা বালুরঘাট হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিক। নিজস্ব চিত্র
দুর্গাপুজো কাটতেই রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ২৬ অক্টোবর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চার দিনে প্রায় তিনশো জন ফিভার ক্লিনিকে আসেন। পুজো কাটতেই হাসপাতালের ভিআরডি ল্যাবরেটরিতে লালারস পরীক্ষার পরিমাণ বেড়েছে। তবে চলতি মাসের নিরিখে এখনও পর্যন্ত ওই ল্যাবরেটরিতে পজ়িটিভ রিপোর্টের ভিত্তিতে পুজোর পরে করোনা সংক্রমণের শতাংশের হার বাড়েনি বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি।
চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, ওই ল্যাবরেটরিতে আরটিপিসিআর-এর পাশাপাশি অ্যান্টিজেন কিটের মাধ্যমে করোনার উপসর্গ থাকা বাসিন্দাদের লালারস পরীক্ষা করা হয়।
হাসপাতালের সহকারী সুপার অভীক মাইতি বলেন, “চলতি মাসে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতি দিন হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে আসা গড়ে ৫০ জন করে রোগীর লালারস পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু পুজো কাটতেই ২৬ অক্টোবর থেকে ফিভার ক্লিনিকে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত প্রতি দিন ৭০-৭৫ জনের লালারস পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী পুজোর পরে এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের হার বাড়েনি।”
জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (৩) গৌতম মণ্ডলের দাবি, এ মাসে জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৪-৫ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেলায় কমিউনিটি টেস্ট ও ফিভার ক্লিনিক মিলিয়ে প্রতি দিন জেলায় গড়ে এক হাজার বাসিন্দার লালারস পরীক্ষা করা হয়েছে। পুজোর মরসুমে ১৬ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভিড় থেকে বাসিন্দাদের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলে ওই সময়ের মধ্যে সব মিলিয়ে জেলায় প্রতি দিন গড়ে ১২০০ জন বাসিন্দার লালারস পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বাড়েনি। জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, বিভিন্ন সরকারি দফতর ও পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ছুটি থাকায় পুজোর পরে এখনও পর্যন্ত কমিউনিটি পরীক্ষা চালু করা সম্ভব হয়নি। পুজো ঘিরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভিড় হয়েছে। ফলে কমিউনিটি পরীক্ষা চালু করা হলে জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।