Coronavirus

খাদ্য বাড়ন্ত, কাতর ফোন মুখ্যমন্ত্রীকে

করোনার প্রকোপ রুখতে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন।আর তার পর থেকেই কাজ হারিয়েছেন মূলত শ্রমিকের কাজ করা ওই বাসিন্দারা।

Advertisement

নমিতেশ ঘোষ

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২০ ০৩:২১
Share:

প্রতীকী ছবি

কারও ঘরে খাবার নেই, কেউ বাড়ি ফেরার জন্য ছটফট করছেন। অভিযোগ, পাশে দাঁড়ায়নি সরকার-প্রশাসনও। অবশেষে ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন কর্মসূত্রে বিভিন্ন রাজ্যে থাকা কোচবিহারের বাসিন্দারা।

Advertisement

করোনার প্রকোপ রুখতে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন।আর তার পর থেকেই কাজ হারিয়েছেন মূলত শ্রমিকের কাজ করা ওই বাসিন্দারা। তাঁদের কয়েকজনের কথায়, কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আয়ও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জমানো টাকা ভাঙিয়ে খাবার কিনছি। এ ভাবে না হয় ক’দিন চলবে, কিন্তু তার পরে? কান্নায় ভেঙে পড়েছেন কেউ কেউ। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাইরে থাকা বাংলার বাসিন্দাদের যাতে অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।

কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানিয়েছেন, দেশের যে সব প্রান্তে কোচবিহারের বাসিন্দারা রয়েছেন, সেই সমস্ত জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তিনি বলেন, “প্রত্যেকেই খাবার ও আশ্রয়ের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। তার পরেও কোনও দরকার হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Advertisement

কোচবিহারের মতো প্রান্তিক জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ কাজের সূত্রে ভিন্ রাজ্যে বাস করেন। করোনা-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পরে তাঁদের একটি বড় অংশ ফিরে এসেছে জেলায়। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতর জেলার সাড়ে ৯ হাজার বাসিন্দাকে হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। যাঁদের বেশিরভাগই ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরেছেন। এর পরেও আরও একটি অংশ আটকে পড়েছেন বিভিন্ন রাজ্যে। অভিযোগ, চিকিৎসা থেকে খাবার সব নিয়েই অসুবিধায় তাঁরা।

নয়ডায় রয়েছেন দিনহাটার আলোকঝাড়ির ফিরদৌস রহমান। তিনি টাইল মিস্ত্রির কাজ করেন। জানালেন, তাঁরা যেখানে রয়েছেন সেখানে কোচবিহারের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ রয়েছেন। কেউ রাজমিস্ত্রির, কেউ শ্রমিকের কাজ করেন। গত পনেরো দিন ধরে কোনও কাজ নেই। হাতে যে টাকা ছিল তা-ও শেষের পথে। তিনি বলেন, “অনেকের ঘরেই খাবার নেই বললেই চলে। আমরাই একবেলা কম খাচ্ছি। টাকা শেষ হয় গেলে খাব কী?” তাঁরা ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে সব জানিয়েছেন। সোমবার বিকেলে কয়েকজন এসে তাঁদের নাম-ঠিকানাও লিখে নিয়ে গিয়েছেন বলে জানালেন ফিরদৌস।

দিল্লির ইন্দিরাগাঁধী বিমানবন্দরে বিল্ডিং তৈরির কাজ করছিলেন গীতালদহের আব্দুল হালিম। কাছাকাছিই থাকেন। তিনি বলেন, “সপ্তাহ শেষে কাজের টাকা পাই। এ বার আর তা পাইনি। এ দিকে বাড়ি ফেরার কোনও রাস্তা নেই।”

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement