—নিজস্ব চিত্র।
এ বার জামাইষষ্ঠীতেও করোনা-কাঁটা। জামাইষষ্ঠীর জন্য বুধবার সরকারি কর্মচারীরা গোটা দিন ছুটি উপভোগ করলেও সে সুবিধা পাচ্ছেন না স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। করোনায় আক্রান্তদের পরিষেবায় স্বাস্থ্য দফতরের সমস্ত কর্মীর ছুটি বাতিল করেছে রাজ্য সরকার। ফলে অন্যদের মতো বুধবার জামাই-আদর থেকে বঞ্চিত থাকবেন তাঁরা। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে মনভার হলেও করোনা পরিস্থিতিতে নিজেদের দায়িত্বের কথা মাথায় রেখেই তা মেনে নিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
করোনার মতো অতিমারির মোকাবিলায় রাজ্যের সব জেলার স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে স্বাস্থ্য দফতর। টিকারণ কর্মসূচির পাশাপাশি হাসপাতাল এবং সেফ হোমে আক্রান্তদের সেবায় নিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের জামাইষষ্ঠীতেও ছুটি নেই। ফলে বহু চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মনভার। জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে কমিউনিটি হেলথ অফিসার অবিস্মিতা ঘোষ বলেন, “কোভিড কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে রয়েছি। করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের কোনও ছুটি নেই। স্বাভাবিক ভাবেই এ বছর জামাইষষ্ঠীতে বাপের বাড়ি গিয়ে ছুটি উপভোগ করারও সুযোগ নেই। মন কিছুটা ভার বটে। তবে এই কঠিন পরিস্থিতিতে সরকার এবং আক্রান্তদের পাশে থাকব।”
স্বাস্থ্যকর্মীদের মতো নিজেদের দায়িত্ব পালনকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ ঘোষ। তিনি বলেন, “কোভিড পরিস্থিতিতে জামাইষষ্ঠী পালনের উপায় নেই। তাই শ্বশুরবাড়িতে যেতে পারব না বলে সেখানকার লোকেদের একটু মনখারাপ। স্ত্রী-ও একটু আক্ষেপ করছে। তবে তা মেনে নিতে হবে। আগে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেব, তার পর অন্য সব।” উত্তরবঙ্গের ওএসডি সুশান্ত রায়ও জানিয়েছেন, বহু স্বাস্থ্যকর্মী বুধবার জামাইষষ্ঠী পালন করলেও সে দিন যথারীতি চিকিৎসা পরিষেবায় নিযুক্ত থাকবেন।