প্রতীকী চিত্র।
বুধবার ইদুজ্জোহা। ফি বছর লক্ষাধিক মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ ইদুজ্জোহায় নমাজ পড়েন সুজাপুর নয়মৌজা ইদগাহ ময়দানে। যদিও গত বছর করোনা আবহে ইদ-উল-ফিতরের মতো ইদুজ্জোহাতেও এই ইদগাহ ময়দানে নমাজ পাঠ বন্ধ রেখেছিল এই ইদগাহ কমিটি। এ বারেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে ইদ-উল-ফিতরে নমাজ হয়নি এখানে। এখন মালদহে করোনার প্রকোপ কম থাকলেও সরকারের নির্দেশিত কড়া বিধিনিষেধকে মান্যতা দিয়ে ইদুজ্জোহাতেও জমায়েত করে নমাজপাঠ হবে না এই ইদগাহতে। এর মধ্যে এই ইদগাহ কমিটি এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
শুধু তাই নয়, এই ইদগাহ কমিটির তরফে সুজাপুর এলাকায় থাকা অন্তত ৫৩টি জুমা মসজিদ কমিটিকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, ইদুজ্জোহার দিন করোনা বিধি মেনে মসজিদে অল্প লোক নিয়ে মাস্ক পরে দূরত্ববিধি মেনে যেন নমাজপাঠ হয়। পাশাপাশি মালদহ জেলা ইমামের পক্ষ থেকেও জেলার সমস্ত মসজিদে সরকারি বিধি মেনে ইদুজ্জোহার দিন নমাজপাঠের বার্তা দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ইদুজ্জোহায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে জেলার বিভিন্ন থানায় বৈঠকও শুরু হয়েছে।
রাজ্যে অন্যতম বড় নমাজপাঠের জমায়েত হয় সুজাপুর নয়মৌজা ইদগাহ ময়দানে। এই ইদগাহ কমিটির দাবি, সুজাপুর তো বটেই, এমনকি কালিয়াচক ও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষাধিক মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ এই ইদগাহ ময়দানে এসে নামাজ পাঠ করেন। কিন্তু করোনার জন্য গত বছর থেকে এখানে নমাজ বন্ধ। এ বারের ইদুজ্জোহাতেও নমাজপাঠ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়মৌজা ঈদগাহ কমিটি। কমিটির সম্পাদক হামিদুর রহমান বলেন, ‘‘সরকারের কার্যত লকডাউনের মতো বিধিনিষেধকে মান্যতা দিয়ে এ বারের ইদুজ্জোহাতে আমরা সুজাপুর ইদগাহ ময়দানে নমাজপাঠ বন্ধ রাখছি। এলাকার ৫৩টি মসজিদ কমিটিকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, সেখানে করোনা বিধি মেনে মাস্ক পরে যেন নমাজপাঠ হয়।’’
মালদহের জেলা ইমাম জাহাঙ্গির আলম বলেন, ‘‘মালদহ জেলায় প্রায় সাড়ে চার হাজার মসজিদের প্রত্যেক ইমামকে বলা হয়েছে যে, ইদুজ্জোহার দিন ৫০ জনেরও কম লোক নিয়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও মাস্ক পরে যেন নামাজ পড়া হয়।’’