বিজয়িনী: সংবর্ধনা নিচ্ছেন ঝর্নাদেবী। নিজস্ব চিত্র
করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ি ফিরলেন দিনহাটা শহরের গোসানি রোডের ঝর্না সাহা। শহরের আট নম্বর ওয়ার্ডের গোসানি রোডের একই বাড়ির তিন জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে কমবয়সি দু’জন দিন কয়েক আগে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন।
এ দিন রাতে ৭১ বছরের ঝর্না সাহা বাড়ি ফিরতেই, স্থানীয় বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যরা ও প্রতিবেশীরা তাঁর হাতে পুষ্পস্তবক দিয়ে তাঁকে সংবর্ধনা জানান। তারপর দীর্ঘক্ষণ হাততালি দিয়ে উপস্থিত সকলে তাঁকে আবেগে ভাসিয়ে দিলেন। অনেকেই জানালেন, ওঁর বয়েসটাই চিন্তার কারণ ছিল তাঁদের। তবে তিনি যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, তাতে তাঁরা খুব খুশি।
গত ১৩ জুলাই শরীর খারাপ হওয়ায় দিনহাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ঝর্নাকে। তাঁর হার্টের রোগ ছাড়াও থাইরয়েড, সুগার, প্রেসার ও কোলোস্টেরলের সমস্যা রয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে। এর পর ঝর্নার সোয়াব টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই ১৫ জুলাই তাঁকে কোচবিহারের কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন কয়েকবার সোয়াব টেস্ট হয় তাঁর।
প্রতিবারই রিপোর্ট পজেটিভ আসে বলে তাঁর ছেলে রানা সাহা জানান। সোমবার, টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আশায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়।
সোমবার রাতে বাড়ি ফিরে ঝর্না সাহা বলেন, “আমার দেওর ও ছেলে দু’জন পরপর আক্রান্ত হয়েছিল এই রোগে। তারপর আমি। অসুস্থ শরীরে আক্রান্ত হওয়ার পর কিছুটা ভেঙে পড়েছিলাম। কিন্তু বাড়ির লোকে, আত্মীয়স্বজনরা সবসময় পাশে ছিলেন। কোচবিহার কোভিড হাসপাতালের ডাক্তার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরাও নানাভাবে সাহস জুগিয়েছেন। মনের জোর আর শক্তি রাখতে হবে, এই রোগকে প্রতিহত করতে।“
তিনি জানান, এ দিন ছুটি হতেই হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সকলে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যান।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)