রাঁধুনি আসেননি, রাঁধলেন শিক্ষকরা

বন্‌ধের জেরে রাঁধুনিরা আসেননি। স্বভাবতই স্কুলের মিড ডে-র রান্না বন্ধ থাকার কথা ছিল। বসে না থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারাই হেঁসেলের দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এসে ধরলেন হাতা খুন্তি। সব্জি মেশানো খিচুড়ি ও পাঁপড় ভাজায় মিড ডে মিল চালু থাকলো দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের বালাপুর হাইস্কুলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৪২
Share:

রান্নায় ব্যস্ত শিক্ষকরা।— নিজস্ব চিত্র

বন্‌ধের জেরে রাঁধুনিরা আসেননি। স্বভাবতই স্কুলের মিড ডে-র রান্না বন্ধ থাকার কথা ছিল। বসে না থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারাই হেঁসেলের দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এসে ধরলেন হাতা খুন্তি। সব্জি মেশানো খিচুড়ি ও পাঁপড় ভাজায় মিড ডে মিল চালু থাকলো দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের বালাপুর হাইস্কুলে। সোমবার পড়ন্ত বেলায় ঠান্ডার আমেজে গরম গরম খিচুড়ি খেয়ে তৃপ্তির হাসি হাসলো পড়ুয়ারা।

Advertisement

বালাপুর হাইস্কুলে টিচার ইনচার্জ সুজিত বর্মন বলেন, গ্রুপের ৭-৮ জন মহিলা সদস্য রোজ স্কুলের মিড ডে-র রান্না করেন। বন্‌ধের দিন বলে মহিলাদের আসতে দেরি হচ্ছে ভেবে অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু দুপুর ১২টা বেজে গেলেও তাঁদের এক জনও রান্না করতে আসেননি। বন্‌ধের দিন পঠনপাঠন স্বাভাবিক থাকলে মিড ডে মিল হবে না কেন? সুজিতবাবু কথা পাড়তেই এগিয়ে আসেন ইংরেজির শিক্ষিকা অর্পিতা ভৌমিক, রসায়নের লেখা ভট্টাচার্য, বাংলার শিক্ষক নুরুল ইসলাম, শিক্ষাকর্মী রাহুল রায়েরা। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন বেলা গড়াচ্ছে। চালে ডালে খিচুড়ি রান্না করতে সময় কম লাগবে। স্কুলের মূল ভবনের পিছনে রান্নাঘরে বটি হাতে আলু সব্জি কাটতে শুরু করা থেকে চাল ধুয়ে কড়াইতে চাপানোর কাজে সকলে হাত লাগান। পাশাপাশি সাবুর তৈরি চাকা পাঁপড় ভাজা হতে থাকে।

দুপুর আড়াইটের ঘন্টা পড়তেই শুরু হয়ে যায় ছাত্রছাত্রীদের খিচুড়ি পরিবেশন। টিচার ইনচার্জ বলেন, ‘‘স্কুলে মিড ডে-র অন্তর্ভুক্ত ৬০০ উপরে ছাত্রছাত্রী। স্কুলের বেশিরভাগ শিক্ষকের বাড়ি বালুরঘাট, তপন এবং গঙ্গারামপুর এলাকায়। বন্‌ধে এ দিন এই রুটে বেসরকারি বাস চলেনি। ফলে শিক্ষকেরা স্কুলে আসতে পারবে না মনে করে রাঁধুনিরা আসেননি।’’

Advertisement

তবে এ দিন পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর মাত্র ১৩৫ জন ছাত্রছাত্রী স্কুলে এসেছিল। বেশিরভাগ পড়ুয়া বাড়ি থেকে না খেয়ে স্কুলে আসে। বালাপুর হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ঝন্টু ওঁরাও, অজয় ওঁরাওদের বাড়ি প্রায় ৬ কিলমিটার দূরে অভিরামপুর এলাকায়। প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরের পর্বতপুরের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী স্মৃতি ওঁরাও, রত্না মণ্ডলেরা বেজায় খুশি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement