ফাইল চিত্র।
বিজেপি কার্যালয় থেকে কোচবিহার-কলকাতা বিমানের টিকিট মিলছে বলে দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
বিমান সংস্থা সূত্রে খবর, ৩ মার্চ পর্যন্ত ৯৯৯ টাকা রয়েছে টিকিটের দাম। রবীন্দ্রনাথের দাবি, ওই কয়েক দিন বিজেপি নিজেদের খুশি মতো লোকজনকে কলকাতা নিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের কোনও লাভ হচ্ছে না। বিজেপি অবশ্য তা মানতে নারাজ। রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘কেন্দ্র সরকারের ভর্তুকিতে ৯৯৯ টাকায় বিমানে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। অথচ, মানুষ টিকিট পাচ্ছেন না। সব টিকিট বিজেপি পার্টি অফিস থেকে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি কর্মীরা কলকাতা যাচ্ছেন। তাতে সাধারণ মানুষের কী লাভ হল!’’ বিজেপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে ওই বিমানে প্রথম দিন কলকাতা থেকে কোচবিহারে ফিরেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা টিকিট কেটেই বিমানে ফিরেছি। প্রত্যেকেই টিকিট কেটে যাতায়াত করছেন। তৃণমূলের অভিযোগের কোনও গুরুত্ব নেই। আমরা চাই বিমান নিয়মিত চলুক।’’
চলতি মাসের ২১ তারিখ থেকে কোচবিহার-কলকাতা বিমান চলাচল শুরু হয়। ওই দিন বিমানে কলকাতা থেকে কোচবিহার ফেরেন বিজেপির পাঁচ বিধায়ক। তাঁদের স্বাগত জানাতে কোচবিহার বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। প্রচুর বিজেপিকর্মী ব্যান্ড পার্টি নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূলের প্রতিনিধিদের ওই বিমানে কোচবিহার ফেরার কথা থাকলেও শেষে ফেরেননি। দলীয় সূত্রে খবর, কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বিরোধের জেরেই শেষ পর্যন্ত ওই বিমানে চাপেননি শাসক দলের প্রতিনিধিরা। কিন্তু বিমান চলাচলের কৃতিত্ব নিয়ে দু’পক্ষে টানাটানি চলতে থাকে। রাজ্য সরকার দাবি করে, বিমানবন্দরের পরিকাঠামো তারাই তৈরি করেছে। পুলিশ ও দমকলকেও নিরাপত্তার জন্যে বিমানবন্দরে রাখা হয়েছে। উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকার জন্যেই বিমান চলাচল শুরু করা সম্ভব হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে ডবল ইঞ্জিন বিমান চালানোর দাবি করেন। বর্তমানে নয় আসনের একটি সিঙ্গল ইঞ্জিন বিমান চালানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সংস্থার তরফে জানানো হয়, মার্চের ৩ তারিখ পর্যন্ত সমস্ত টিকিট ‘বুক’ রয়েছে।
বিমান সংস্থা ও টিকিট বিক্রির এজেন্সির তরফে বিমান চলাচলের একদিন আগে থেকে অনলাইনে টিকিট ‘বুক’ করার কথা জানানো হয়েছিল। এই অল্প সময়ে কী করে সমস্ত টিকিট ‘বুক’ হল, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। রবীন্দ্রনাথের দাবি, ৯৯৯ টাকার টিকিট দেওয়া হচ্ছে বিজেপির অফিস থেকে। টিকিট বিক্রি সংস্থার তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, ওই অভিযোগ ঠিক নয়। অনলাইনে টিকিট কেটেছেন প্রত্যেকে। সংস্থার পক্ষে প্রসন্ন জৈন বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই বুকিং হয়েছে। এখনও ৩ মার্চের পরবর্তী টিকিটের জন্য বুকিং নেওয়া হচ্ছে।’’