মহালক্ষ্মীর প্রতিমা তৈরি হচ্ছে মদনমোহন বাড়িতে। — নিজস্ব চিত্র
চতুর্ভুজা মহালক্ষ্মীর পুজো ঘিরে মেতে উঠেছে কোচবিহার। মদনমোহন মন্দির চত্বরের কাঠামিয়া মন্দিরে রাজ আমলের ঐতিহ্য মেনে ওই পুজো হয়।
পুজোর আয়োজক দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে দেবীর চারদিকে থাকে চারটি হাতির মূর্তি। এ বারেও ওই রূপেই প্রতিমা তৈরি হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় পুজো আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। কোচবিহারের সদর মহকুমা শাসক তথা দেবোত্তর ট্রাষ্ট বোর্ডের সদস্য অরুন্ধতী দে বলেন, “রীতি মেনে মহালক্ষ্মী পুজোর আয়োজনে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না।”
দেবোত্তর সূত্রেই জানা গিয়েছে, লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন বাসিন্দাদের অনেকের বাড়িতেই করা হয়। কিন্তু মদনমোহন মন্দির চত্বরে মহালক্ষ্মী পুজোর সঙ্গে বাসিন্দাদের বাড়তি আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। পঞ্জিকার বিধান মেনে নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে আয়োজিত ওই পুজো দেখতে ও অঞ্জলি দিতেও উৎসাহীদের ভিড় উপচে পড়ে।
দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের এক কর্মী জানিয়েছেন, বাসিন্দাদের অনেকে নিজেদের বাড়ির লক্ষ্মী পুজোয় অঞ্জলি দিলেও মহালক্ষ্মী পুজোয় অঞ্জলির টান এড়াতে পারেন না। রাজ আমলের ঐতিহ্য ও নিয়মনিষ্ঠার টানেই পুজো ঘিরে বাড়তি আবেগ রয়েছে। কোচবিহার রাজ পরিবারের দুয়ারবক্সী অমিয় দেববক্সী বলেন, “দেবীর এখানে চার হাত। বিধান মেনে ওই পুজোয় পায়রা, পাঠা বলির রেওয়াজ রয়েছে।” এবার প্রভাত চিত্রকর মূর্তি তৈরি করছেন।
দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যে ৬টা ৪০ মিনিটে পুজো শুরু হবে। রাজ পুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য পুজো করবেন। মহালক্ষ্মীর পুজোয় অন্নভোগ ও খিচুড়ি দুই-ই দেওয়া হয়। দেবোত্তরের কয়েকজন কর্মী জানিয়েছেন, হাতির সঙ্গে পেঁচাও ওই প্রতিমার কাঠামোয় থাকে। অনেকে যারা নানা কারণে পুজো করতে পারেন না তাঁরাও ভিড় জমান। সবমিলিয়ে মহালক্ষ্মীর পুজো ঘিরে রীতিমতো উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে এখানে।