—ফাইল চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডে পর থেকে তাঁর একাধিক মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই ‘ধারাবাহিকতা’ বজায় রেখে বিরোধীদের ‘পাঁচ বার দংশনের’ নিদান দিলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, ‘‘ওরা একটা দংশন করলে পাল্টা পাঁচটা দংশন করতে হবে!’’ উদয়নের এই মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিজেপি বক্তব্য, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি।
রবিবার রাতে দিনহাটার পাঁচ মাথার মোড়ে তৃণমূলের একটি সভায় বক্তৃতা করতে গিয়ে উদয়ন বলেন, ‘‘ওরা একটা দংশন করলে পাল্টা পাঁচটা দংশন করতে হবে। ওরা একটা দাঁত বসালে পাঁচটা দাঁত বসানোর বন্দোবস্ত করতে হবে। তবে গিয়ে মিথ্যাচার বন্ধ হবে এবং তবেই অশান্তি সৃষ্টি করার চক্রান্ত বন্ধ হবে। একটি মেয়েকে ধর্ষণের হুমকির সাজানো অভিযোগও বন্ধ হবে। না হলে এগুলো এক তরফা ভাবে চলছে, এগুলো এক তরফা ভাবে চলতে পারে না। এক তরফা ভাবে চললে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।’’
প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিনহাটার এক তরুণী থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানান, এক যুবক তাঁকে ফেসবুক ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন। এই ঘটনায় এসইউসি-র এক কর্মী তরুণীকে সাহায্য করেছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। সেই যুবককে তৃণণূলের লোকেরা মারধরও করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উদয়ন অভিযুক্ত যুবককে অবিলম্বে গ্রেফতারের কথা বললেও রবিবার সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে তাঁর দাবি, পরিকল্পিত ভাবে তৃণমূলের বদনাম করতেই এই সব অভিযোগ করা হচ্ছে। উদয়ন চান, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হোক।
বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বোস বলেন, ‘‘দিনেদুপুরে মন্ত্রী হার্মাদদের সুরে কথা বলছেন। মন্ত্রী যে নিদান দিয়েছেন, তা অত্যন্ত নিম্নরুচির। মন্ত্রীর মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে। বিরোধীরা কোনও আন্দোলন করতে পারবেন না, কোনও প্রতিবাদ করতে পারবেন না, প্রয়োজনে পুলিশ দিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করানো হবে, লোক পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হবে— এটাই এখন তৃণমূলের কালচার।’’