হেরিটেজ সুপারিশ, ভাঙল সেই ঘরই

ইংরেজ আমলে তৈরি সার্কিট হাউস সংলগ্ন দু’টি ঘর ভাঙাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বির্তক। ইতিহাসের অংশ ওই ঘর দু’টি জেলাশাসকের দফতর ভেঙে ফেলায় ক্ষুদ্ধ ইতিহাসবিদরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৭ ০১:৩৯
Share:

ভগ্নস্তূপ: ইংরেজ আমলে তৈরি এই ঘর ভাঙাকে ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। নিজস্ব চিত্র

ইংরেজ আমলে তৈরি সার্কিট হাউস সংলগ্ন দু’টি ঘর ভাঙাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বির্তক। ইতিহাসের অংশ ওই ঘর দু’টি জেলাশাসকের দফতর ভেঙে ফেলায় ক্ষুদ্ধ ইতিহাসবিদরা।

Advertisement

আলিপুরদুয়ার সাকির্ট হাউস চত্বরে সামনের দিকে তৈরি হচ্ছে নতুন ভবন। অভিযোগ, মাস দুয়েক আগে পেছনের দিকে একটি ঘর ভেঙে ফেলা হয়। সম্প্রতি আর একটি ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে।

তবে মূল ভবনটি অক্ষত রয়েছে। যেখানে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেরিটেজ কমিটি রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের কাছে বছর কয়েক আগে সার্কিট হাউস চত্বরকে হেরিটেজ ঘোষণার সুপারিশ করেছেন সেখানে কী ভাবে ওই ঘর দু’টি ভাঙা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

জেলাশাসকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সার্কিট হাউসের মূল ভবনের পেছনে দু’টি পরিত্যক্ত ঘর ছিল। সেগুলি ভাঙা হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম জানান, প্রশাসনিক কারণেই ঘরটি ভাঙা হয়েছে।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক তথা হেরিটেজ প্রজেক্ট কমিটির কো অর্ডিনেটর আনন্দগোপাল ঘোষ জানান, ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনের নির্দেশে তাঁরা দু’বছর ধরে উত্তরবঙ্গ জুড়ে সমীক্ষা চালান।

তার পর প্রস্তুত তালিকায় ১০০ বছরের পুরনো আলিপুরদুয়ার সার্কিট হাউসের উল্লেখ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হেরিটেজ কমিটির তরফে ওই সার্কিট হাউসকে হেরিটেজ ঘোষণার প্রস্তাব হেরিটেজ কমিশনের কাছে পাঠানো রয়েছে। তিনি বলেন,‘‘১০০ বছরের পুরনো কোনও নির্মাণ জাতীয় সম্পদ। তা এ ভাবে ভাঙা যায় না।’’ তিনি বিষয়টি নিয়ে হেরিটেজ কমিশনে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু জানান, ১৯৩৮ সালে তৎকালীন ভূমি রাজস্ব আধিকারিক ডিএইচই সন্ড্যারের রিপোর্টে আলিপুরদুয়ার সার্কিট হাউস ও পেছনের দু’টি ঘরের উল্লেখ রয়েছে। পেছনের একটি ঘর ছিল পাচক অর্থাৎ রাধুনিদের জন্য।

আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় জানান, যে ঘর ইতিহাসের সাক্ষী তা কেন ভাঙা হল তা বিস্ময়ের। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement