প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ‘হাউস ফর অল’ প্রকল্প থেকে তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত বাসিন্দাদের বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে। বালুরঘাট পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।
অভিযোগ, পুরসভা থেকে প্রথম দফায় যে ১৫ জনকে প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তাঁদের কেউই তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত ছাদহীন গরিব পরিবারের মধ্যে পড়েন না। অথচ প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী ছাদহীন, টালি বা টিনের বাড়ি রয়েছে এমন গরিব পরিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় অগ্রাধিকার পাবেন। এ দিকে দালান বাড়ি রয়েছে এমন বাসিন্দাও ওই ১৫ জন উপভোক্তার তালিকায় রয়েছেন বলে এলাকার নবীন মুর্মু, বাবু পাহান, আরতি পাহান, বিধান টুডুদের মতো অন্তত ৪০ জন বাসিন্দা জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন।
কিছু দিন আগে ওই ওয়ার্ডের তফসিলিভুক্ত বাসিন্দাদের তরফে বিপ্লব মণ্ডল নামে এক বাসিন্দা তথ্য জানার অধিকার আইনের মাধ্যমে পুরসভা থেকে ১৫ জন উপভোক্তার ওই তালিকা পান। এর পরই বাসিন্দারা জেলাশাসকের কাছে তদন্তের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক অমলকান্তি রায় অভিযোগকারীদের বুধবার দেখা করতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পাকা বাড়ি তৈরির জন্য পরিবার পিছু ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। প্রথম কিস্তিতে ৭৫ হাজার, দ্বিতীয় কিস্তিতে ১ লক্ষ, তৃতীয় কিস্তিতে ৭৫ হাজার এবং চতুর্থ কিস্তিতে ৮৮ হাজার টাকা হিসেবে উপভোক্তারা পাবেন। সূত্রের খবর, ওই ১৫ জন উপভোক্তা প্রথম কিস্তির ৭৫ হাজার টাকা বাড়ি তৈরির জন্য পেয়েছেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নীতা হাঁসদা বলেন, ‘‘অভিযোগ ঠিক নয়। ওয়ার্ড কমিটির মাধ্যমে সমীক্ষা করে উপভোক্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তা ছাড়া এলাকার তফসিলি ও উপজাতিভুক্ত বাসিন্দাদের কারও লিজের জায়গায় বাড়ি কারও জমি রয়েছে তো খাজনা দেওয়া নেই। ফলে গরিব হলেও প্রকল্পের শর্তপূরণ করতে না পারায় এক জন তফসিলি বাসিন্দাকে প্রকল্পের আওতায় আনা যায়নি।’’ পরবর্তী সময়ে তাঁদের গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ঘর দেওয়া হবে বলে নীতাদেবী আশ্বাস দেন। পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার সুব্রত মোহান্ত বলেন, ‘‘পুর ইঞ্জিনিয়াররা সরজমিনে খতিয়ে দেখে তবেই উপভোক্তাদের নির্বাচিত করেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।’’