রায়গঞ্জের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী অশোককুমার পালকে মনোনয়নপত্র তোলাতে খুনের হুমকি দিয়ে শূন্যে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার রাতে রায়গঞ্জ থানার পুর এলাকার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। ওই রাতেই একই কায়দায় ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর পরিবারের লোকেদেরও গুলি চালিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সিপিএমের রায়গঞ্জ জোনাল সম্পাদক উত্তম পাল ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর দাদা প্রদীপকুমার রায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। দু’জনেরই অভিযোগ, তৃণমূলের মদতে কিছু দুষ্কৃতী ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
তবে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য অভিযোগ মিথ্য বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের জোয়ারে শহর থেকে সিপিএম ও বিজেপির সংগঠন ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনের মুখে রাজনৈতিক স্বার্থে প্রচারের আসতে বিরোধীরা একজোট হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’’ তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ করবে।’’
২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী সিপিএম কাউন্সিলর তপন দাস গত ১১ এপ্রিল তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী করেছে। ওই ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী করেছে দলের যুব সংগঠন যুবমোর্চার জেলা সভাপতি ভক্তকুমার রায়কে। সিপিএমের রায়গঞ্জ জোনাল সম্পাদক উত্তমবাবুর অভিযোগ, ওই দিন রাত ১১টা নাগাদ তৃণমূল আশ্রিত অজ্ঞাতপরিচয় একদল দুষ্কৃতী মুখে কালো কাপড় বেঁধে অশোকবাবুর বাড়ির সামনে গিয়ে তাঁকে গালাগালি করে বাইরে বার হতে বলে। তিনি বাইরে বার না হওয়ায় দুষ্কৃতীরা তাঁকে মনোনয়নপত্র না তুললে খুনের হুমকি দিয়ে শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।
বিজেপি প্রার্থী ভক্তবাবুর দাবি, ওই দিন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর অভিযোগ, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়।