দগ্ধ কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে এসে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার বিকেলে লাটাগুড়ি থেকে ওই কিশোরীকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়।
পরিবারের অভিযোগ, কর্তব্যরত নার্সরা রোগিনীকে ‘ড্রেসিং’ করাতে চাননি। ওয়ার্ডে থাকা এক ‘মাসি’ ড্রেসিং করিয়ে দেওয়ার জন্য তিনশো টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ। কিশোরীকে নিয়ে আসা এক আত্মীয়ের দাবি, তাঁরা ওই মাসির হাতে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। এই অভিযোগে মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভও দেখান রোগীর আত্মীয়েরা। হাসপাতাল সুপার মৈত্রেয়ী কর এ দিন মেডিক্যাল কলেজে না থাকলেও অভিযোগ শুনেছেন তিনি। সুপার বলেন, ‘‘সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কে টাকা চেয়েছে, তার নাম জানাতে বলা হয়েছে।’’
এ দিন বিকেলে লাটাগুড়ির নেওড়াবস্তি এলাকা থেকে এক নবম শ্রেণির ছাত্রীকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির পরে চিকিৎসক দেখে কিশোরীকে ড্রেসিং করানোর নির্দেশ দেন। পরিজনদের অভিযোগ, সে কথা জেনেও কর্তব্যরত নার্সরা কোনও পদক্ষেপ করেনি। বেশ কয়েকবার অনুরোধের পরে এক মাসিকে ড্রেসিং করানোর জন্য দেখিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি। তাতেও অবশ্য ফল মেলেনি। টাকা ছাড়া ড্রেসিং করা সম্ভব নয় বলে ওই মহিলা দাবি করেন বলে অভিযোগ। রোগীর আত্মীয় অনুপ প্রধানের অভিযোগ, ‘‘পরে টাকা দেওয়ার কথা বললেও মহিলা রাজি হননি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বললেও কোনও ফল মেলেনি। শেষে টাকা দিয়েই ড্রেসিং করাতে বাধ্য হই।’’
নেওয়ানদী চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের মেয়ে রোগিনী এখনও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিকেলে কর্তব্যরত আধিকারিককে বিষয়টি জানালে তিনি ‘এক্তিয়ার নেই’ বলে জানিয়ে রোগিণীর পরিবারকে ফিরিয়ে দেন বলে দাবি। পরিজনেরা জানিয়েছেন, প্রয়োজনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানানো হবে।