চা বাগানের শ্রমিক মহল্লাকে দত্তক নিল কলেজ। মালবাজারের পরিমল মিত্র স্মৃতি কলেজের তরফে মেটেলি ব্লকের ডানকান গোষ্ঠীর কিলকোট চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের সকলকে দত্তক নেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহেই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশনের কলেজগুলোকে দেওয়া নির্দেশিকা ও প্রস্তাবনার মধ্যেই কলেজের কাছে থাকা কোনও পিছিয়ে পড়া গ্রাম বা জনগোষ্ঠীকে দত্তক নিয়ে তাঁদের সাহায্য করার কথা বলা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে এর আগে এই কাজ হয়নি বলে দাবি। কলেজের অধ্যক্ষা উমা মাজি বলেন, ‘‘ইউজিসির নিয়ম রয়েছে দেখে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছিলাম। উর্ধ্বতন মহল থেকেও সবুজ সংকেত পেয়ে ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনের কাছে কোন এলাকাকে দত্তক নেওয়া যেতে পারে তা সুপারিশ করতে অনুরোধ করি।’’ সেখান থেকেই কিলকোটের নাম উঠে আসে। বাগানের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। গ্রামবাসী, পঞ্চায়েত এবং কলেজের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার মউসম্পাদিত হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে কিলকোটকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করতে না পারলেও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে সচেতনতা অনুষ্ঠান, স্বাস্থ্যবিধি পালনে পরামর্শ, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে। মালবাজার কলেজের ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিমের তিনটি ইউনিট কিলকোট বাগানে প্রতি মাসে একবার করে যাবে বলে জানানো হয়েছে। অধ্যাপকেরাও পরিদর্শনে আসবেন বলে জানা গিয়েছে। এই নজিরবিহীন উদ্যোগে খুশি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান গার্গী মাহালি, বাগানের সিনিয়র ম্যানেজার চন্দনপ্রকাশ কপূর। এই উদ্যোগে খুশি প্রশাসনও। মালবাজারের মহকুমাশাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি বলেন, ‘‘কিলকোট তো উপকৃত হবেই। কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যেও সামাজিক চেতনা বেড়ে উঠবে।’’