স্তূপীকৃত: জমা করা খুচরো পয়সার পাহাড়। নিজস্ব চিত্র
ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ খুচরো কয়েন না নেওয়ায় সমস্যায় ব্যবসায়ীরা। বালুরঘাটের বাসিন্দা এই ব্যবসায়ীদের দাবি, সেই কয়েন জমা নেওয়ার আবেদন নিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জুটছে হুমকি এবং দুর্ব্যবহার। অভিযোগ, ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করারও হুমকি দিয়েছেন। ফলে কয়েনে বস্তা ভরলেও কী ভাবে অসুবিধা মিটবে তাই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।
বালুরঘাটের খবরের কাগজের এক এজেন্ট শহরের ডানলপ মোড়ের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক। সেই ব্যাঙ্কেই তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়িক লেনদেন করেন। ওই ব্যবসায়ী মাধব মৈত্রের দাবি, কাগজের ব্যবসা করায় স্বাভাবিকভাবেই তাঁর কাছে খুচরো কয়েন বেশি জমে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাই তাঁর কাছ থেকে সপ্তাহে পাঁচ হাজার করে মাসে ২০ হাজার টাকার খুচরো কয়েন জমা নিত। লকডাউনের আগে পর্যন্তও এ ভাবেই মাসে তিনি তিন লক্ষ টাকার লেনদেন করেছেন। কিন্তু ব্যাঙ্কে নতুন ম্যানেজার হিসেবে প্রসেনজিৎ দে যোগ দিতেই সেই নিয়ম তুলে দেওয়া হয় বলে দাবি মাধবের। ফলে লকডাউনে কোনও কয়েন জমা না নেওয়ায় মাধবের কাছে লক্ষাধিক টাকার খুচরো কয়েন জমে গিয়েছে। ব্যাঙ্ক তা জমা না নেওয়ায় তিনি ব্যবসা করতে পারছেন না বলে তাঁর দাবি।
মাধব বলেন, ‘‘অনেকবার ব্যাঙ্কে গিয়েছি, অনুরোধ করেছি। কিন্তু ম্যানেজার কয়েন জমা নিচ্ছেন না। উল্টে আমার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন।’’
তাঁর অভিযোগ, তিনি ব্যাঙ্কে সপ্তাহে দুই হাজার টাকা করে কয়েন জমা নেওয়ার আবেদন করলেও ব্যাঙ্ক তার কথা শুনছেন না। তাই চরম সমস্যায় পড়া এই ব্যবসায়ীর একটাই প্রশ্ন, এ ভাবে ব্যাঙ্কই যদি কয়েন জমা না নেয় তা হলে তিনি বা তাঁর মতো অন্য ব্যবসায়ীরা কোথায় যাবেন?
ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার প্রসেনজিৎ দে-কে ফোন করা হলে তিনি ‘‘আমি কিছু বলব না। যা ইচ্ছে হয় করুন।’’ বলে ফোন কেটে দেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলে দিয়েছে, কয়েন নিষিদ্ধ নয়। সব ব্যাঙ্ক কয়েন জমা নিতে বাধ্য। কেন ওই ব্যাঙ্ক কয়েন জমা নিচ্ছে না সে বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। এটা কোনও ম্যানেজার বলতে পারে না।’’