কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে পরিদর্শনে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। — নিজস্ব চিত্র
বকেয়া ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। এই টাকা তুলতে আপাতত ১০ জন এজেন্ট নিয়োগ করতে চলেছে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক।
ব্যাঙ্কে চলতি বছরের অডিট রিপোর্টে প্রায় ৩৩ কোটি টাকার অকেজো সম্পদের (নন পারফরমিং অ্যাসেটেস) উল্লেখ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ঋণ অনাদায়ী থাকায় পুরো টাকাটাই হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১০ এই সময়কালে অনাদায়ী ঋণ জমে বিপুল অঙ্কের আকার নিয়েছে। অডিট রিপোর্টে থাকা ওই টাকার সঙ্গে আরও কয়েকটি ঋণ মিলিয়ে মোট বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। এই টাকা আদায়েই বেসরকারি ব্যাঙ্কের মতো পেশাদারি পথে হাঁটতে চলেছে সমবায় ব্যাঙ্ক। চলতি সপ্তাহ থেকেই ‘রিকভারি এজেন্ট’ নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হতে চলছে।
প্রথমে ব্যাঙ্কের পাঁচটি শাখার জন্য এজেন্ট নিয়োগ করা হবে। এজেন্টদের তালিকাও স্থানীয় থানার কাছেও থাকবে। কোন ব্যক্তি বা সংস্থার কাছে অনাদায়ী ঋণ পরিশোধে এজেন্টরা তাগাদা দেবেন তা থানাকে জানানো থাকবে। প্রতি সপ্তাহে থানায় গিয়ে এজেন্টরা রিপোর্ট করবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। ব্যাঙ্ককে লাভজনক করতেই এই উদ্যোগ বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। গত আর্থিক বছরে এই ব্যাঙ্ক প্রায় ৫ কোটি টাকা লাভ করে বলে বার্ষিক সাধারণ সভার রিপোর্টে জানানো হয়েছে। অকেজো সম্পদের পরিমাণ কমলে অর্থাৎ বেশি করে বকেয়া ঋণ আদায় হলে ব্যাঙ্কের লাভের পরিমাণ বাড়বে। ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অনেক ঋণ দীর্ঘদিন আগে তামাদি বলে ধরে নেওয়া হয়েছে, কোনও ঋণের নথি লোপাট হয়ে গিয়েছিল। সে সব খতিয়ে দেখে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা বকেয়া হয়েছে। বকেয়া আদায়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সে কারণেই এজেন্ট নিয়োগ হবে।’’