আগ্রহ: চায়ের খোঁজে। নিজস্ব চিত্র
সিটিসি চায়ের স্বাদে মজেছে চিনের প্রতিনিধি দল। উত্তরবঙ্গের চায়ের স্বাদ তাঁদের এতটাই ভাল লেগেছে যে জলপাইগুড়ির বিভিন্ন বটলিফ কারখানা থেকে ৫৬ রকমের চায়ের নমুনা সঙ্গে নিয়ে ফিরছেন চিন থেকে আসা চা বিপণন সংস্থার দুই প্রতিনিধি। চা পর্ষদ সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের চা সেই দেশে নিয়ে যেতে চিনের হাইকমিশন থেকে বাণিজ্যিক ছাড়পত্র নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের এক প্রতিনিধি দল জলপাইগুড়ি এসে ক্ষুদ্র চা বাগানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে।
গত শুক্রবার চিনের একটি বহুজাতিক চা বিপণন সংস্থার দুই প্রতিনিধি জলপাইগুড়িতে একটি হোটেলে ছোট চা বাগানের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। নানা ধরনের সিটিসি চা চেখে দেখেন তাঁরা। তার থেকেই বাছাই করে ৫৬টি নমুনা সংগ্রহ করছেন তাঁরা। দেশে ফেরার আগে তাঁরা জানান, শরৎকালে তোলা চা পাতা নিয়ে আপাতত নিয়ে যাওয়া হবে।
উত্তরবঙ্গের থেকে অসমের চায়ের লিকার বেশি ঘন হয়। যদিও চিনের দলটি অসম যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে। ক্ষুদ্র চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠনের সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “উৎপাদন খরচ কম হওয়ার কারণেই উত্তরবঙ্গে এসেছিল প্রতিনিধিরা। একই কারণে ছোট চা বাগানের পাতা নিতে আগ্রহী তাঁরা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মে মাস থেকে চা পাতা চিনে যেতে শুরু করবে।”
সিটিসি চায়ের কদর দিন দিন চিনের বাজারে বেড়েই চলছে বলে সে দেশের প্রতিনিধিরা জানিয়েছিলেন। চা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ব্রোকেন পিকো এবং অরেঞ্জ ফ্যানিংস এই দু’রকম চা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চিনের দল। ব্রোকেন পিকো চা ছোট দানার হয়. গরম জলে ফেললে গাঢ় লালচে রং ছড়িয়ে পড়ে। কোন সময়ে চায়ের কেমন দাম ওঠে তার তালিকাও নিয়ে গিয়েছে চিনা প্রতিনিধি দল।
উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র চা চাষিরা নিজেরাই গোষ্ঠী তৈরি করে বটলিফ কারখানা করেছেন। তবে এখনও স্থানীয় বাজারে দাম না পাওয়ার অভিযোগ শোনা যায়। চিন চা নিতে শুরু করলে, দেশের বাজারেও চায়ের দাম বাড়তে পারে বলে আশায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।