রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব।—ফাইল চিত্র।
পর্যটন শিল্পকে ঘুরে দাঁড় করাতে কেন্দ্রীয় সরকার একেবারেই সহানুভূতিশীল নয় বলে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। রবিবার বিশ্ব পর্যটন দিবসের একটি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি। এ দিন বিকালে শিলিগুড়ির অদূরে সুকনা লাগোয়া নিউ চামটা চা বাগানে উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রথম চা পর্যটন রিসর্টে ওই অনুষ্ঠান হয়। রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রকের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সাগ্নিক চৌধুরী-সহ সরকারি অফিসারেরা উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের অফিসারদের সামনেই মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য সরকারের তরফে সাধ্যমত চেষ্টা করছি। করোনা ছাড়াও আমাদের রাজ্য আমপানের মত ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করে চলেছেন। পর্যটন ক্ষেত্রেকে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে সহনুভূতিশীল নন।’’
মন্ত্রীর বক্তব্যের আগেই অবশ্য মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা বলেন, ‘‘আমরা সব দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীগোষ্ঠীর সমন্বয় কমিটির কাছে পাঠিয়েছি। শীঘ্রই কেন্দ্রীয় সরকার নিশ্চয়ই কিছু জানাবে। ততদিন আমরা দেশের ভিতরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘোরা আর তাতে গ্রামীণ পর্যটনকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। চা পর্যটন, হোমস্টে এর অন্যতম অঙ্গ।’’ বিশ্ব পর্যটনদিবসকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল উত্তর পূর্বাঞ্চলের পর্যটন সংগঠনের যৌথমঞ্চ, হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক। দার্জিলিঙের কমল কুমার গুরুংকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট, শিসামারাকে নতুন ওঠে আসা পর্যটনকেন্দ্রের পুরস্কার দেওয়া হয়।