—প্রতীকী চিত্র।
কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র পোর্টাল ও ওয়েবসাইটে প্রথমবার রাজ্যের শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের বাছাই করা এলাকা নিয়ে প্রচার শুরু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাছাই করা পর্যটন গন্তব্যের ছবি ও তথ্য বিভিন্ন স্তর থেকে আসার পরে তা যাচাই করে প্রচারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বিভিন্ন সংগঠন, সরকারি স্তরে ওই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তাঁদের মতামত, ইনপুট কেন্দ্রীয় মন্ত্রক জানতে চেয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রকের কলকাতার আঞ্চলিক দফতর থেকে বিভিন্ন পর্যটন সম্পর্কিত সংগঠনে যোগাযোগ করে নতুন প্রচারের বিষযটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এত দিন রাজ্যের কলকাতা বা দক্ষিণের কিছু এলাকায় মন্ত্রকের প্রচারে জায়গা পেয়েছিল।
গত বছর শিলিগুড়িতে জি-২০ শীর্ষ বৈঠকের পর থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা নিয়েও ভাবা শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক। রাজ্যের অন্যতম শহর শিলিগুড়িকে দেশের সংস্কৃতি, বৈচিত্র্য, ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের প্রতীক হিসাবে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরছিলেন কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী জি কিসান রেড্ডি। সম্মেলনে ২০টি অন্তর্ভুক্ত দেশ এবং আমন্ত্রিত দেশের প্রতিনিধিদের সামনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়ে দেন, শিলিগুড়ি শহর দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার। এটিকে ঘিরে পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। এর পর থেকে ধাপে ধাপে কাজ শুরু হয়েছে। পর্যটন মন্ত্রকের এক সচিবের কথায়, ‘‘মন্ত্রকের প্রচারে থাকলে দেশ শুধু কেন, বিদেশের কাছেও এলাকাগুলির নতুন করে আবার পরিচিতি বাড়বে। পর্যটন বিনিয়োগ থেকে এলাকার সরকারি পরিকল্পিত উন্নয়নে যা অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।’’
মন্ত্রক সূত্রের খবর, আপাতত দার্জিলিং, কালিম্পং, শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জের কিছু ছবি, তথ্যমন্ত্রক জড়ো করেছে। এর বাইরে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়়ি, কোচবিহার বা আলিপুরদুয়ারের তথ্যমন্ত্রকের কাছে জমা পড়ছে। প্রতিটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকার উন্নতমানের ছবি, তথ্য দিয়ে তা মন্ত্রক প্রচারে আনবে। তাতে দার্জিলিঙের বাতাসিয়া লুপ থেকে শিলিগুড়ির হংকং মার্কেট বা বেঙ্গল সাফারি জায়গা পেতে পারে। তেমনিই, বিভিন্ন ভ্যালি, গুম্ফা, পার্ক, হেরিটেজ সম্পত্তি তালিকায় থাকবে। জি-২০ সম্মেলনের সময়ই মন্ত্রকের অত্যন্ত জনপ্রিয় 'ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া' প্রচারে দেশের বিভিন্ন শহর, রাজ্য ও প্রান্তের সঙ্গে প্রথমবার শিলিগুড়ি এবং দার্জিলিংকে জুড়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়।
আবার উত্তরের এক শহর থেকে আর এক শহরে যাওয়ার মাঝে ‘ট্রানজ়িট সিটি’ আর নয়, পুরোপুরি পাহাড়, চা বাগানে ঘেরা গন্তব্য হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে শিলিগুড়িকে। এর আগে এ প্রান্ত থেকে ওই কেন্দ্রীয় স্তরের প্রচারে শুধু জায়গা পেয়েছিল টয় ট্রেন। পরে মন্ত্রকের তরফে উত্তরবঙ্গ নিয়ে সমীক্ষাও করা হয়েছে। সেখানে শিলিগুড়ি এসে থেকে শুধু সেবক, কার্শিয়াং ঘোরা বা শালুগাড়া গুম্ফা, মধুবন পার্ক বা সুকনার টয় ট্রেন স্টেশন শুধু নয়, বেঙ্গল সাফারির মতো বিশাল স্বাভাবিক জঙ্গলের চিড়িয়াখানা, গজলডোবার মতো মেগা ট্যুরিজ়ম হাব তৈরি হয়েছে তার প্রচার হবে বলে ঠিক হয়েছে। তেমনিই, দার্জিলিং, কালিম্পঙের পাহাড়ি এলাকাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যে তা ওয়েব দুনিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া কাজ চালু হচ্ছে।