পাহাড়ে: শনিবার দার্জিলিঙের বাতাসিয়া লুপে পর্যটকদের ভিড়। অনেকের মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। নিজস্ব চিত্র।
বড়দিনে পর্যটকের ঢল নামল পাহাড়ে। যার জেরে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে কোনও হোটেল বা হোম স্টে খালি নেই বলে ভ্রমণ সংস্থাগুলির দাবি। গত বছর ডিসেম্বরে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও পর্যটকদের আনাগোনা বেশি ছিল না। এ বছর সেই পরিস্থিতি দৃশ্যতই বদলেছে।
ডিসেম্বরে বিভিন্ন স্কুলে মাধ্যমিকের টেস্ট এবং অন্যান্য শ্রেণির পরীক্ষা ছিল। তা শেষ হতেই গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভিড় জমতে শুরু করে পাহাড়ে। বিভিন্ন হোটেল মালিকদের একাংশও তা জানান। ২৫ ডিসেম্বর পর্যটকে পাহাড় ভরে গিয়েছে বলে দাবি।
‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর কর্মকর্তা সম্রাট সান্যাল শনিবার বলেন, ‘‘বড়দিনের হাত ধরে অনেকটাই পুরনো ছন্দে ফিরছে পাহাড় এবং ডুয়ার্স। তবে সকলকে এই সময়ে করোনা বিধি মানতে হবে। আমরা আশাবাদী আগের মতো পর্যটক আসবে পাহাড়ে।’’
কালিম্পংয়ের রিশপে যেহেতু তিন দিন আগেই বরফ পরেছিল তাই সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বড়দিনের ভ্রমণের দৌড়ে প্রায় সকলকে টেক্কা দিল রিশপ। লাভা, রিশপ এবং ডেলো এক রুটে এই তিন কেন্দ্রে শনিবার কার্যত গাড়ির লাইন পড়ে যায়। রাত্রিবাসের সবকটি জায়গা তিন দিন আগে থেকে ভরে গেলেও সকালে গিয়ে বিকেলে ফিরে আসা পর্যটকদের সংখ্যাটা ছিল রাত্রিবাস করার থেকেও দ্বিগুণ।
সমতলে ভিড় তুঙ্গে ছিল গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। সেখানে প্রতিটি শিফটেই লাইন ছিল পর্যটকদের। পাখিপ্রেমী তো বটেই এমন কি শুধুমাত্র নদীর ধারে সময় কাটাতে শিলিগুড়ির থেকে আসা পর্যটকদের ভিড় জমে যায় গজলডোবা ব্যারাজ এবং ভোরের আলো পর্যটন হাব এলাকাতে। নৌকা করে তিস্তা ভ্রমণের চাহিদাও ছিল দেখার মত। তুলনায় কম জনপ্রিয় ‘অফবিট’ পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও পর্যটকদের দেখা মিলেছে। দলগাঁও, রংগু কুমাইয়ের দিকেও তাই হোম স্টেগুলিতে ছিল নজরকাড়া ভিড়।
ভ্রমণ সংস্থাগুলির তরফে জানানো হয়েছে, ২৫ ডিসেম্বর থেকে নতুন বছর পর্যন্ত পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় পযটকদের ভিড় থাকবে বলেই পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান।