—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বর্ষা সে ভাবে না এলেও মালদহ জেলায় ডেঙ্গির সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। এ বছরে এ পর্যন্ত জেলার ১৫৮ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গির প্রকোপ প্রতিরোধে ফের জেলায় আজ, সোম ও কাল, মঙ্গলবার বিশেষ পরিছন্নতা অভিযানে নামছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই কী এই তোড়জোড়? এ নিয়ে প্রশাসনিক কর্তারা মন্তব্য করতে চাননি।
কয়েক বছর ধরেই মালদহ জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ চলছে। গত বছর ৪,৪২৭ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। যদিও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি বলে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি। চলতি বছরের পয়লা জানুয়ারি থেকে ২০ জুন পর্যন্ত জেলায় ১৫৮ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে গত সাত দিনে ৬ জন আক্রান্ত হন। এ দিকে এ মাসের ১১ থেকে ১৩ জুন তিনদিন গোটা জেলা জুড়ে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছিল। সেই অভিযানে জেলার সমস্ত হাসপাতাল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাট ও বাজার সাফাই করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক আধিকারিকদের যে বৈঠক ছিল সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর ওই বৈঠকের পর সে দিনই রাতে জেলা প্রশাসনের তরফে দুই পুরসভা এবং পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয় যে আজ সোম ও কাল মঙ্গলবার ফের জেলায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় এই দু'দিন জেলার সমস্ত সরকারি হাসপাতাল, মহাকুমাশাসক ও বিডিও অফিস-সহ সমস্ত স্কুল, কলেজ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং পুরসভা ও সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পরিছন্নতা অভিযান চলবে। শুধু তাই নয়, পরিচ্ছন্নতা অভিযান ঠিকঠাক চলছে কিনা তা নিয়ে নজরদারির জন্য জেলা প্রশাসনের ১৮ জন আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই আধিকারিকদের এক একটি ব্লক ও পুরসভায় নজরদারির দায়িত্ব এবং এক জনকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়। জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘‘জেলায় ডেঙ্গি প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপরে বিশেষ জোর দিয়েছি। এর আগে টানা তিন দিন পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে জেলায়। এবার সোম ও মঙ্গলবার দু'দিন একইভাবে জেলার সমস্ত স্কুল, কলেজ, অফিস, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে শুরু করে সরকারি হাসপাতালগুলিতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলবে।’’