নির্দেশ: সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবনের সামনে। নিজস্ব চিত্র
অস্থায়ী ভবন চত্বরেই বাঁধা হবে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধনের মঞ্চ। গত শনিবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বেঞ্চের কাজ শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হয়। রাজ্য সরকারকেও চিঠি দিয়ে জানিয়েছে হাইকোর্ট। সূত্রের খবর রাজ্য সরকারের শীর্ষস্তর থেকে চাইছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ‘মেগা ইভেন্টে’র পর্যায়ে নিয়ে যেতে।
অস্থায়ী ভবনের এক পাশে মঞ্চ বেঁধে অনুষ্ঠান হলেও, রাজ্য সরকার এলইডি স্ক্রিন বসিয়ে সারা শহরে দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণের দৃশ্য দেখাতে চায়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি মোড়ে এলইডি স্ক্রিন বসাতে চায় রাজ্য সরকার। এ নিয়ে হাইকোর্ট প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্য সরকার আলোচনায় বসতে চলেছেন বলে খবর। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, “শনিবার হাইকোর্ট থেকে জানানোর পরে রবিবার এবং সোমবার দু’দিনই সরকারি ছুটি ছিল। আমাদের কাছে নির্দেশ এসেছে মঙ্গলবারের মধ্যে বেঞ্চের ভবনগুলির চূড়ান্ত পরিদর্শন শুরু করতে।”
আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের এক প্রতিনিধি দলের জলপাইগুড়িতে আসার কথা বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। সেই দলই উদ্বোধনের জায়গা চূড়ান্ত করবে। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে উদ্বোধন হবে অস্থায়ী ভবন চত্বরেই। প্রশাসনের একটি অংশ শহরের কোনও বড় মাঠে উদ্বোধনের প্রস্তাব দিয়েছিল।
তবে হাইকোর্টের ভবনের ক্ষেত্রে তেমন নজির নেই বলে জানানো হয়েছে। সাধারণত যে ভবনের উদ্বোধন হয়, তার সামনেই মঞ্চ বেঁধে সাদামাটা-গাম্ভীর্যপূর্ণ অনুষ্ঠান হয়। কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে জলপাইগুড়িবাসীর আবেগ রয়েছে এবং চার দশকেরও বেশি ধরে বেঞ্চের দাবিতে আন্দোলন চলেছে। সে কথা মাথা রেখে প্রশাসনের তরফে অনুষ্ঠানকে একটু বড় মাপের আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের এক মন্ত্রীর কথায়, “পুরোটাই হাইকোর্টের অনুষ্ঠান। আমরা পরিকাঠামোগত সহায়তা দেব। তবে হাইকোর্ট প্রশাসন যদি মনে করে আমরা আয়োজনে যোগ দেব।”
জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন লাগোয়া বেঞ্চের অস্থায়ী ভবনের ডান দিকে রেলের বেশ কিছু ফাঁকা জমি রয়েছে। সেখানে একটি পৃথক মঞ্চ করার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য প্রশাসন। প্রথমে সেই মঞ্চের অনুষ্ঠান হবে। তাতে হাইকোর্টের প্রতিনিধি সহ আমলা, জনপ্রতিনিধিরা থাকবেন। সেখানেই আম নাগরিকদের বসার ব্যবস্থা হবে।
বক্তৃতা এবং অনুষ্ঠানের পরে বাছাই করা ভিভিআইপিরা মূল ভবনে ঢুকে আসবেন। ভবনে ঢোকার মুখে আরও একটি মঞ্চ হতে পারে। সেখানেই হবে মূল উদ্বোধন। আগামী ৯ মার্চ উদ্বোধনের পর থেকেই পুরো এলাকা নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। বেঞ্চের অস্থায়ী ভবনের সামনে দিয়ে ভারীয় যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ হচ্ছে। যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হবে পুরো এলাকায়।