প্রতীকী ছবি
টানা দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট। তার পরের দিন রবিবার। এ দিকে, বৃহস্পতিবার সরস্বতী পুজো উপলক্ষে ব্যাঙ্কে ছুটি ছিল। গ্রাহকেরা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতি থেকে রবিবার— টানা এই চার দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হবে। বিশেষ করে, শিলিগুড়ির মতো বাণিজ্যনগরীতে ব্যবসায়ীদের লেনদেনে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদেরও।
সাধারণ গ্রাহকদের অনেককেই বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে এটিএমগুলির সামনে লাইন দিতে দেখা গিয়েছে। কোথাও কোথাও বিকেলের পর থেকে টাকা না মেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বহু গ্রাহক। দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের জেরে এটিএম কাউন্টারও বন্ধ থাকবে বলে ধর্মঘটীরা জানিয়ে দিয়েছেন। ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের অসুবিধে হবে বলেও মানছেন ধর্মঘটীরা। ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ফলে বেতন পেতেও অসুবিধা হবে বহু চাকরিজীবীর। এ ছাড়াও বিয়ের মরসুমে এটিএম বন্ধ থাকলে অনেকেরই অসুবিধে হবে।
অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের দার্জিলিং জেলার সম্পাদক লক্ষ্মী মাহাতো বলেন, ‘‘আমরা গ্রাহকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু ৩৯ বার বৈঠকের পরেও আমাদের দাবি-দাওয়া না মানায় আমাদের ধর্মঘট করা ছাড়া উপায় ছিল না।’’ জলপাইগুড়িতে ব্যাঙ্ক কর্মচারী সংগঠনের তরফে সুশান্ত নিয়োগী বলেন, ‘‘আমরা দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিতে বাধ্য হয়েছি। ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট অধিবেশন রয়েছে। সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই দু’দিনের ধর্মঘট। সাধারণ মানুষের অসুবিধে হবে ঠিকই। কিন্তু আমরাও নিরুপায়।’’
জলপাইগুড়ির মৃণাল ঘোষ বলেন, ‘‘এটিএম পরিষেবা বন্ধ হলে খুবই সমস্যায় পড়তে হবে। এখন বিয়ের মরসুম চলছে। বিয়ের মরসুমে বহু লোক হয়রানির শিকার হবেন।’’ জলপাইগুড়ির ব্যবসায়ীদের তরফে জানানো হয়েছে, দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের জেরে খুবই অসুবিধে হবে। নগদ টাকায় লেনদেন বন্ধ হয়ে পড়বে। জলপাইগুড়ির এক ব্যবসায়ী জানান, বিয়ের মরসুম এবং মাসের প্রথম সপ্তাহে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ফলে বাজারের বিকিকিনি জমবে না।