Dengue Malaria

‘ডবল সেঞ্চুরি’ ডেঙ্গির, চিন্তা ম্যালেরিয়াতেও

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর বর্ষা আসার আগেই জেলার একাধিক জায়গায় ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলতে শুরু করে।

Advertisement

পার্থ চক্রবর্তী

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪ ০৮:৪৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

আলিপুরদুয়ার জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দু’শো পেরিয়ে গেল। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাও প্রায় নব্বই ছুঁইছুঁই। তবে জেলার স্বাস্থ্য-কর্তাদের দাবি, গত দু’সপ্তাহে জেলায় ম্যালেরিয়া অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ডেঙ্গিও আগের তুলনায় নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর বর্ষা আসার আগেই জেলার একাধিক জায়গায় ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলতে শুরু করে। তখন থেকেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর খোঁজ কালচিনি ব্লকে পাওয়া যায়। মাঝখানে টানা বৃষ্টির সময় ডেঙ্গির প্রকোপ জেলায় বেশ কিছুটা কমে যায়। কিন্তু গত এক সপ্তাহে গড়ে দুই থেকে ছয় জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সন্ধান জেলায় পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০২ জন। ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখে কালচিনি ব্লক এখনও এক নম্বরেই রয়েছে। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত সেখানে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী মিলেছে ১১৩ জন। এর পরেই রয়েছে ফালাকাটা গ্রামীণ এলাকা। সেখানে এ বছর এখনও পর্যন্ত ২৪ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।

কিছু দিন আগে, আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ষোলো বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছিল। যার জেরে, ম্যালেরিয়া নিয়ে নতুন উদ্বেগ ছড়িয়েছিল আলিপুরদুয়ারে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এ বছর এখনও পর্যন্ত জেলায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮৮ জনে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্য-কর্তারা দাবি করেছেন, এই মুহূর্তে জেলায় ম্যালেরিয়া অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ম্যালেরিয়া রুখতে সব স্তরের কর্মীরাই ময়দানে নেমেছেন। শুরুতে অনেকে অনীহা প্রকাশ করলেও, পরে স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া বিশেষ মশারিও প্রায় সকলেই ব্যবহার করছেন। ফলে, ম্যালেরিয়া এই মুহূর্তে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। জেলায় ডেঙ্গিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

Advertisement

তবে টানা বৃষ্টির পরে গরমের দাপট বাড়তেই জেলার কিছু জায়গায় জ্বর ও সর্দি-কাশির দাপট শুরু হয়েছে। যার জেরে, কিছু জায়গায় সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই রোগীদের সংখ্যাও বাড়ছে। এই অবস্থায় চলতি বছরে জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দুশো পেরিয়ে যাওয়ায় চিন্তা বাড়ছে অনেকের মনে। যদিও আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্য-কর্তারা জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার বদলের জন্য অনেকের ‘ভাইরাল ফিভার’ হচ্ছে। তার সঙ্গে ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়ার সম্পর্ক নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement