ফাইল চিত্র।
ভুয়ো ভোটদান আটকাতে এ বার প্রিসাইডিং অফিসারদের মোবাইলে থাকবে 'বুথ অ্যাপ'। বৃহস্পতিবার ভিডিয়ো কনফারেন্স করে নির্বাচন দফতরের আধিকারিকেরা জেলায় জেলায় আধিকারিকদের এমন বার্তা দিয়েছেন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের আটটি জেলায় নির্দিষ্ট কয়েকটি বিধানসভায় এমন ব্যবস্থা থাকছে। মালদহ জেলায় ১২টি বিধানসভার মধ্যে শুধুমাত্র ইংরেজবাজার বিধানসভার অক্সিলারি সহ ৩৯৩টি বুথের প্রিসাইডিং অফিসারদের মোবাইলে এই অ্যাপ লোড করা থাকবে। কুইক রেসপন্স (কিউআর) কোড যুক্ত ভোটার স্লিপ সেই অ্যাপের মাধ্যমে স্ক্যান করে সুনির্দিষ্ট ভোটারদের চিহ্নিত করতে পারবেন প্রিসাইডিং অফিসাররা। কিউআর যুক্ত ভোটার স্লিপ আগে থেকেই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবেন বুথ লেভেল অফিসাররা (বিএলও)। পাশাপাশি যে সমস্ত ভোটারদের কিউআর যুক্ত ভোটার কার্ড রয়েছে সেটাও স্ক্যান করা যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অ্যাপের মাধ্যমে ভোটারদের চিহ্নিত করার এই প্রক্রিয়া সড়গড় করতে প্রিসাইডিং অফিসারদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বৈভব চৌধুরী বলেন, "এবারে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই ব্যবস্থা আমাদের জেলার ইংরেজবাজার বিধানসভার সমস্ত বুথে থাকবে।"
এ দিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে বুথ স্থানান্তর নিয়ে একটি সর্বদলীয় বৈঠক হয়েছে মালদহ জেলা প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে। সেখানেও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের এই অ্যাপের বিষয়টি জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা আবহের জন্য এবারে জেলায় অক্সিলারি বুথের সংখ্যা বাড়ছে। এ বারে জেলায় মোট বুথের সংখ্যা হচ্ছে ৪ হাজার ২৩০টি। এর মধ্যে প্রধান বুথ ২ হাজার ৮৮৪টি এবং অক্সিলারি বুথ ১ হাজার ৩৪৬টি। বাড়তি অক্সিলারি বুথের জন্য প্রধান বুথকেন্দ্রে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় ১৩টি বুথ স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। এর মধ্যে গাজল ও ইংরেজবাজার বিধানসভায় ৪টি করে বুথ এবং বৈষ্ণবনগরে ৩টি ও হরিশ্চন্দ্রপুর এবং রতুয়া বিধানসভায় একটি করে বুথ রয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, ১৩টি বুথ স্থানান্তরের বিষয়টি এ দিন সর্বদলীয় বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলিকে জানানো হয়েছে এবং তারা কেউ আপত্তি জানায়নি।