থানার সামনে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
জাল নোট পাচার করার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে জেলা আদালতে পেশ করতে বাধা দিলেন বিজেপি কর্মীরা। থানায় ঢুকে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধ্বস্তাধ্বস্তি করেন তাঁরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মৃদু লাঠিচার্জও করেছে পুলিশ। মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগর থানায় ঘটেছে এই ঘটনা। বিজেপির অভিযোগ, ধৃত ওই ব্যক্তি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণে পুলিশ তাঁকে ফাঁসাতে চাইছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ ও মালদহ জেলা এসটিএফ টিমের ডিএসপি দিলীপ কর্মকারের নেতৃত্বে যৌথ উদ্যোগে গোপন সূত্রের খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। বৈষ্ণবনগর থানার সব্দলপুরের সরকার পাড়া এলাকায় হানা দিয়ে ধনঞ্জয় মণ্ডল (৪২) ও তাঁর দাদা অমৃত মণ্ডল (৫০) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২০০০ টাকার ১১৪টি ও ৫০০ টাকার ১৯৬টি জাল নোট উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। যার মূল্য ৩ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা।
ধৃত দুইজনকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার দাবিতে বৈষ্ণবনগর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন সরকারের নেতৃত্বে প্রায় ২০০ কর্মী থানায় ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। থানার সামনে ধর্নাতেও বসেন বিজেপি কর্মীরা। ধৃতদের আদালতে পেশ করার উদ্দেশ্যে বার করা হলে উত্তেজিত হয়ে যান বিজেপি কর্মীরা। তখন ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় থানাতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মৃদু লাঠিচার্জ করে পুলিশ। লাঠিচার্জের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ধৃতদের জেলা আদালতে পেশ করে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন সরকারের অভিযোগ, ‘‘গত ২৬ ডিসেম্বর বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলে পুলিশ মিথ্যা জালনোট মামলায় ফাঁসাচ্ছে।’’