Raju Bista

সাহায্যের আশ্বাস সাংসদের

নতুন টি প্যাকেজিং পার্ক গড়ার প্রস্তাব চাইলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:০১
Share:

স্টান্স: শুক্রবার ফ্রেন্ডশিপ কাপের উদ্বোধন করলেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা। ছবি: স্বরূপ সরকার

গোড়ামোড়ের কাছে পুরনো টি পার্কে আর জায়গা নেই। কিন্তু চা ব্যবসায় নতুন লগ্নি নিয়ে আসতে চাইছেন উত্তরবঙ্গের অনেক ব্যবসায়ী। তাদের জন্য নতুন টি প্যাকেজিং পার্ক গড়ার প্রস্তাব চাইলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। শনিবার বর্ধমান রোডে চা ব্যবসায়ীদের সংগঠন টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের নতুন ভবন উদ্বোধনে এসে তিনি প্রস্তাবিত ওই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় অর্থ সাহায্যের আশ্বাস দেন। ছিলেন টি বোর্ডের কর্তারাও। তাঁদের তরফেও সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয় চা ব্যবসায়ীদের। বর্ধমান রোডে ব্যবসায়ীদের দফতরের উপর তলায় একটি চা আস্বাদন প্রশিক্ষণকেন্দ্রও খোলার প্রস্তুতি নিতে বলেছেন সাংসদ। উত্তরবঙ্গে এরকম কোনও প্রশিক্ষণকেন্দ্র এখনও তৈরিই হয়নি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

Advertisement

চা ব্যবসায়ীদের সংগঠন, টি টেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সমিতির সদস্য অঙ্কিত লোচন বলেন, ‘‘আমাদের বেশ কিছু ব্যবসায়ী একটি ছাতার তলায় বিভিন্নরকমের প্যাকেজিং ইউনিট তৈরি করতে আগ্রহী। কিন্তু তা একা করে ওঠা সম্ভব নয়। তাই এ দিন সাংসদের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।’’

এ দিন সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে চলেছি। চা ব্যবসায়ীদের এরকম একটি ইউনিট তৈরি খুবই জরুরি। ব্যবসায়ীরা প্রস্তাব দিন। আমি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকে কথা বলব।’’ শ্রমিকদের ডিটিএস জমা করার ক্ষেত্রে কিছু জটিলতার কথাও বাগান মালিকরা তাঁর কাছে তুলে ধরেছিলেন। তিনি জানান, তা নিয়ে এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। সমাধান হবে শীঘ্রই। তবে এর আগে নরেন্দ্র মোদী এসে দাবি করেছিলেন উত্তরবঙ্গের বন্ধ চা বাগানগুলি অধিগ্রহণ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তা হয়নি। তবে সে ব্যাপারে সাংসদের দাবি, টি বোর্ডের মাধ্যমে বন্ধ বাগানগুলি নিয়ে ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

উত্তরবঙ্গে উৎপাদিত চায়ের চায়ের গুণমান নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে চা আস্বাদন কেন্দ্র নেই। তা নিয়ে কোনও প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা নেই। এ দিন চা ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ধমান রোডে তাদের সংগঠনের দফতরের উপরেই ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ারও প্রস্তাব দেন রাজু। ব্যবসায়ীরা জানান, ভাল মানের প্রশিক্ষণকেন্দ্র হলে তাতে টি বোর্ডও সহায়তা করবে। টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রধানকমল বেজবড়ুয়া বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি, চা আস্বাদন প্রশিক্ষণকেন্দ্র। ব্যবসায়ীরা প্রস্তাব তৈরি করুন। বোর্ড কী সাহায্য করতে পারে, আমরা দেখব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement