সৌমেন রায় নিজস্ব চিত্র
এবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায় তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়াল। রবিবার সন্ধ্যায় জেলা বিজেপি-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান সৌমেন। তার পরই জল্পনা আরও তীব্র হয়। যদিও গ্রুপ থেকে নিজের অজান্তেই বের হয়ে গিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
কয়েক দিন আগেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি-র টিকিটে জেতা অনেক বিধায়কই তৃণমূলে আসতে চাইছেন। তাঁরা যোগাযোগও রাখছেন।’’ শুক্রবার তৃণমূল ভবনে গিয়ে সপুত্র মুকুলের জোড়াফুল শিবিরে ফিরে যাওয়ার ছবিটা রাজ্য জুড়ে ভিন্ন প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। পুরনো শিবিরে ফিরে এসে মুকুল ‘খেলা’ শুরু করে দিয়েছেন বলেও রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের অভিমত। মুকুলের দলবদলের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ‘বেসুরো’ হয়েছিলেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। এবার আরও এক মুকুল ঘনিষ্ঠ বিধায়ককে ঘিরে জল্পনা বাড়ল।
গত কয়েকদিন ধরে সৌমেন রায় তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিলেন। জেলা নেতৃত্বকে রায়গঞ্জের বিধায়ক মৌখিকভাবে জানিয়েছেন যে তিনি ফালাকাটার বাড়িতে যাচ্ছেন। এদিকে জেলা পার্টি অফিসে গত কয়েকদিন ধরে কোনও বৈঠকেও তাঁকে দেখা যায়নি। তাই তিনি কলকাতায় রয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিকে, রবিবার সন্ধ্যায় জেলা বিজেপি-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান সৌমেন। আর তাতেই জল্পনা তীব্র হয়েছে যে সৌমেন কি তবে মুকুলের পথেই হাটবেন?
এ নিয়ে বিজেপি-র জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, ‘‘বাবা অথবা মা অসুস্থ বলে বিধায়ক ফালাকাটার বাড়িতে গিয়েছেন বলে জানি। তবে গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বিধায়ক প্রথমে ফোন তোলেননি। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করলেও উত্তর দেননি। পরে ফোন করে বলেন, ‘‘গ্রুপ থেকে বের হয়ে থাকলে সেটা একদমই নিজের অজান্তে। ফালাকাটায় আছি। বাবা অসুস্থ। ১৫ তারিখ কালিয়াগঞ্জ ফিরে কাজে মন দেব।’’