পঞ্চায়েত ভবনের সামনে কড়া নিরাপত্তা। নিজস্ব চিত্র
প্রতারণা এবং দুর্নীতির অভিযোগে ধর্মপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধানকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত রবিবার গভীর রাতে প্রধান বিপুল দাসের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল নেতারাও পুলিশের সঙ্গে ছিল, প্রধানের বাড়িও ভাঙচুর হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরেই ধর্মপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েন চলছে।
বিজেপির অভিযোগ ছিল, প্রধানকে আটকাতে গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস আটকে রেখেছে তৃণমূল। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলাও করেছিলেন প্রধান। পুলিশ এবং প্রশাসনকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল দ্রুত প্রধানকে কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের রায়ের পরে রবিবার গভীর রাতে প্রধানকে গ্রেফতার করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। পুলিশের অবশ্য দাবি, এক বিজেপি নেতাই দলের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন, তার ভিত্তিতেই পদক্ষেপ হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিপুল তরফদার নামে এক ব্যক্তি প্রধানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের করেন গত বৃহস্পতিবার রাতে। বিপুল বিজেপির ময়নাগুড়ি মণ্ডল কমিটির সম্পাদক। সে দিন দুপুরেই হাইকোর্ট ধর্মপুর নিয়ে রায় দেয়। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক মোদী বলেন, “দুর্নীতি রোখা এবং প্রতারণার মামলায় ধর্মপুরের বিপুল দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস স্বাভাবিক। আইন মেনেই পদক্ষেপ হয়েছে।”
মাস তিনেক আগে বিপুল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। মণ্ডল সম্পাদকের মোবাইল ফোন এ দিন বন্ধ ছিল। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “পুলিশ জোর করে দলের এক নেতাকে দিয়ে অভিযোগ দায়ের করিয়েছে। তাঁকে হুমকি দিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে। আমরা হাইকোর্টে মামলা করব।” যদিও বিজেপির এক জেলা নেতার কথায়, “দলের নিয়ম-নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত লোকেদের দলে যোগদান করালে এ ভাবেই বারবার মুখ পুড়বে।”