প্রতীকী ছবি
পাহাড়ের জিটিএ-র বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক ডেকে স্থগিত করলেও কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি এখন পাহাড়ের জোটসঙ্গীদের নিয়ে সমস্যায়। জিএনএলএফ বা বিমল গুরুংপন্থী মোর্চা কেন্দ্রের ডাকা বৈঠক নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ওই দুই দলের সঙ্গে বিজেপির নেতারা নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করেছেন। জোটসঙ্গীদের আস্থা বজায় রেখেই কেন্দ্রের সরকার কাজ করবে বলে বোঝানো হচ্ছে। এই বিষয়ে দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাই আপাতত পাহাড় নিয়ে বৈঠকের সম্ভাবনা কম। এই সময়ে জোটসঙ্গীদের সঙ্গে বোঝাপড়া ঝালিয়ে নিতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। সাংসদ বলেছেন, ‘‘বিজেপি নিজেদের সংকল্পপত্রের জায়গায় অনড়। পাহাড়ের রাজনৈতিক সমাধান ও জনজাতিদের তফসিলি স্বীকৃতির বিষয়ে কাজ করছি।’’
পাহাড়ে জিএনএলএফ ও বিমলের মোর্চা বিজেপির সঙ্গী। গোর্খা লিগের একাংশও বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন। অমিত শাহ কিছুদিন আগে বিমলপন্থী দুই নেতাকে ডেকে বৈঠক করেন। ওই নেতারা দ্রুত ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে বলে বাইরে ঘোষণা করতেই জিএনএলএফের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আত্মগোপন করে থাকা গুরুং-র থেকে পাহাড়ে এখন কিছু জায়গায় জিএনএলএফ শক্তিশালী। তাঁদের সঙ্গে কেন্দ্র আলোচনা না করায় দলের নেতারা বিজেপির উপর কার্যত রুষ্ট হন।
এরপরেই দলের সভাপতি মন ঘিসিং, সম্পাদক মহেন্দ্র ছেত্রীকে দিল্লি ডেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় মত নেতারা পাহাড় নিয়ে আলোচনা সারেন। সেখানে জিএনএলএফ পরিষ্কার ভাবে পাহাড় সমস্যা নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের কথা জানিয়ে আসে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে জিটিএ নিয়ে বৈঠকের কথা কেন্দ্র বলায় প্রথমে গুরুংপন্থীরা পরে জিএনএলএফও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিনয় তামাং, অনীত থাপা বৈঠকের বিরোধিতা করে দিল্লি না যাওয়ার কথা বলেন। পাহাড়ের সব দল এক সুরে কথা বলেছে। আগামী বছর বিধানসভা ভোট, পাহাড়ে তিনটি আসন রয়েছে। তাই জোটসঙ্গীদের সঙ্গে সম্পর্ক যাতে ধাক্কা না খায় সেদিকে সতর্ক নজর দিচ্ছে বিজেপি।
ইতিমধ্যে বিনয় তামাংরা জানান, আলাদা রাজ্য ছাড়া ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে কেউ যাবে না। প্রয়োজনে সব দলকে নিয়ে আন্দোলনের কথাও বলেছেন বিনয়। তাতে সঙ্গীদের নিজের অংশে রাখা বিজেপির জন্য জরুরি হয়েছে।